• টার্গেট করে খুন রাজ্জাককে? ISF-কে নিশানা তৃণমূলের, কী বললেন নওশাদ?
    এই সময় | ১১ জুলাই ২০২৫
  • টার্গেট করে খুন? রাজনৈতিক শত্রুতার কারণেই খতম করা হলো রাজ্জাক খাঁকে? বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে ফের চাপানউতোর শুরু ভাঙড়ে। একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

    পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে ঘিরে ধরেছিল রাজ্জাককে। দলেরই মিটিং সেরে ফিরছিলেন রাজ্জাক। রাস্তার দুই দিকে ভেড়ি থাকায় রাস্তা প্রায় বন্ধ ছিল। সেই সুযোগেই ঘন অন্ধকারে আগে থেকে ওত পেতে ছিল দুষ্কৃতীরা। অন্ধকার রাস্তায় তাঁর উপর হামলা হয়। তৃণমূল নেতাকে খুনে নিখুঁত পরিকল্পনা ছিল বলেই মনে করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে রাজ্জাককে কোপানো শুরু হয়। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে পাঁচবার গুলি করা হয়।

    বৃহস্পতিবার রাতেই এই ঘটনার পিছনে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। ভাঙড় এলাকা এখন কলকাতা পুলিশের অধীনে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড়কে নতুন করে উত্তপ্ত করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই রাজ্জাককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন শওকত।

    পাল্টা রাজ্জাকের মৃত্যুর জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছেন ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রশাসন যেন রাজনৈতিক পরিচয় না দেখে তদন্ত করে। শওকত মোল্লা রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। তাঁর পুরোনো রেকর্ড দেখলেই বোঝা যাবে কী ধরনের রাজনীতি তিনি করেন।’ নওশাদের দাবি, রেজ্জাক খানের সঙ্গে আইএসএফ-এর সম্পর্ক ভালো ছিল। তাই এই খুনকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই মনে করছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের পর দেহ আনা হলে তৃণমূলের তরফে শুক্রবার মিছিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা ভাঙড়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আতঙ্ক ও চাপা উত্তেজনার মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

  • Link to this news (এই সময়)