• ঘটকালির ওয়েবসাইট থেকে পরিচয় ও প্রেম, ঠকিয়ে ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও পাত্র! গ্রেফতার দুই ‘ম্যানেজার’
    আনন্দবাজার | ১১ জুলাই ২০২৫
  • ঘটকালির ওয়েবসাইটে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ। তার পর এক তরুণীর কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল হুগলিতে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।

    শুক্রবার হুগলি সাইবার ক্রাইম থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার। তিনি জানান, গত ২৬ মে সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁর অভিযোগ, একটি ম্যাট্রিমনি সাইটে পরিচয় করে তাঁর সঙ্গে প্ৰতারণা করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে অভিষেক রায় এবং জাহির আব্বাস নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিষেকের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। দ্বিতীয় জনের বাড়ি হুগলির খানাকুলে।

    অভিযোগকারিণীর দাবি, ঘটকালির ওয়েবসাইটে যে যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেন। দুই তরফেই সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়। যোগাযোগ তৈরি হয়। ঘটনাক্রমে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই ‘ব্যবসায়ী’ তরুণীকে জানান, তাঁর চালের ব্যবসায় জিএসটি সংক্রান্ত একটি সমস্যা হয়েছে। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন। টাকা দিতে রাজি হয় তরুণীর পরিবার। ধাপে ধাপে মোট পাঁচটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা পাঠান তাঁরা। কিন্তু ওই টাকা নেওয়ার পরেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন যুবক। তার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তরুণী।

    প্ৰতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁদের মোবাইল, একাধিক এটিএম কার্ড এবং ব্যাঙ্কের পাসবই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। দু’জনের কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। ওই টাকার উৎস জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, মূল অভিযুক্তের খোঁজ পেতে তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।

    পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের তাঁর ম্যানেজার বলে পরিচিয় দিয়েছিলেন স্বঘোষিত ব্যবসায়ী। তাঁরা ঠিক কী কাজকর্ম করতেন জানার চেষ্টা চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর অভিযুক্ত তাঁর ম্যাট্রিমনি প্রোফাইলটি ডিলিট করে দিয়েছেন। তাঁর খোঁজ চলছে। এই অপরাধচক্রে আরও কেউ যুক্ত কি না, দেখছে পুলিশ।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘হুগলি জেলায় এমন প্রতারণা পুলিশের কাছে নতুন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)