বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে হাজার কোটি টাকার লেনদেন! সাফল্যে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিদিন | ১২ জুলাই ২০২৫
মলয় কুণ্ডু: সহজে নাগরিকদের প্রশাসনিক পরিষেবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের একগুচ্ছ ব্যবস্থা করেছে। দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মতো নানা প্রকল্প সারাবছর ধরে জেলায় জেলায় কাজ করে। এবার তেমনই এক প্রকল্পের দারুণ সাফল্যের খবর এল প্রকাশ্যে। শুক্রবার সোশাল মিডিয়া পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই সুখবর জানিয়েছেন। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে বিভিন্ন পরিষেবায় ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে খুব কম সময়ের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উপর বেশ নির্ভরশীল বাংলার আমজনতা।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে সাধারণত বিভিন্ন সরকারি সার্টিফিকেট দেওয়ানেওয়ার কাজ হয়। স্কলারশিপ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য, আবাসন-সহ বিভিন্ন খাতে পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন প্রায় হাজার নাগরিক এই সহায়তা পান। এর বিনিময়ে নিয়মমতো ফি নেন কর্মীরা। তা যায় সরকারি কোষাগারে। পরিসংখ্যান বলছে, খুব কম সময়ের মধ্যে সেই লেনদেনের পরিমাণ ছাড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডলে সেই সুখবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
সরকারি কাজের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়ানো, জুতোর শুকতলা ক্ষয় করে দিনের পর দিন অপেক্ষা ? বাংলায় এসব এখন অতীত। লাল ফিতের ফাঁস আলগা হয়ে কাজ অনেক সহজ হয়েছে। মানুষ এখন ডিজিটাল লেনদেনের উপর অনেক বেশি ভরসা করে। আর তাঁদেরই সহায়ক হয়ে উঠেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। সরকারি পরিষেবায় এধরনের বিষয় রীতিমতো অগ্রগতির সূচক। আর এসবই হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এই সাফল্যের জন্য বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের নিরলস পরিশ্রমকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। নিঃসন্দেহে সরকারি পরিষেবায় এ এক বড় সাফল্যের নজির।