ফের বাঙালি হেনস্থা! বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় আটক হুগলির পরিযায়ী শ্রমিক
আনন্দবাজার | ১১ জুলাই ২০২৫
আবারও বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে হেনস্থার শিকার হতে হল পশ্চিমবঙ্গের নাগরিককে। কাজের জন্য ভিন্ রাজ্যে গিয়ে আটক হুগলির বাসিন্দা। হয়রানির অভিযোগ উঠল সেই ওড়িশাতেই।
ওড়িশার ঝারসুগদা জেলায় কাজ করতে গিয়েছিলেন হুগলি জেলার চুঁচুড়া-২ ব্লকের রবীন্দ্রনগরের দেবাশিস দাস। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, গত ১৪ জুন বেশ কয়েক জনের সঙ্গে পাশের রাজ্যে কাজ করতে গিয়েছিলেন দেবাশিস। একটি সংস্থার হয়ে তাঁরা বিভিন্ন প্রজেক্টে ফায়ার সিস্টেমের কাজ করতেন। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ তাঁদেরকে কর্মস্থল থেকে অন্যত্র তুলে নিয়ে যায়। আটক করে চলে হেনস্থা। বিভিন্ন নথি দেখতে চাওয়া হয়। অভিযোগ, পাসপোর্ট, আধার, প্যান, ভোটার কার্ড-সহ জন্ম, শিক্ষার শংসাপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট দেখালেও তাঁদেরকে ছাড়া হয়নি। উপরন্তু কাছে থাকা মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। ঠিকাদার বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে শুক্রবার বাড়ি ফিরে আসেন দেবাশিস। তাঁর দাবি, বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্যই তাঁদেরকে বাংলাদেশি ভেবে হেনস্থা করা হয়েছে। ওড়িশাতে গিয়ে হেনস্থা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিভিন্ন সময়ে দেশের ১৪টি রাজ্যে কাজে গেলেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে তাঁকে আগে কখনও পড়তে হয়নি। তবে এবার থেকে তিনি রাজ্যের বাইরে কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
ছেলের হেনস্থা প্রসঙ্গে মা বিভা দাস বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাংলার মানুষ বাইরে গিয়ে কোনও কাজই করতে পারবে না। এ ভাবে চলতে পারে না।’’ তাঁর প্রশ্ন, সব নথি থাকলেও কী করে এই হেনস্থা করা হয়? পশ্চিমবঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে এ রকম হয় না বলেও দাবি করেন তিনি। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বার বার হেনস্থা হওয়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।