• মুম্বই পুলিস পরিচয়ে আয়কর কর্মীকে ভয় দেখিয়ে প্রতারণা, ধৃত তিন
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বর্ধমান: মুম্বই পুলিস পরিচয়ে ফোন করে আয়কর দপ্তরের এক কর্মীকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। ধৃতদের নাম অমিত দাস ওরফে অমিতরঞ্জন দাস, প্রীতম মণ্ডল ওরফে বাবাই ও সৌম্যজিৎ দাস ওরফে রনি। অমিতই প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা বলে জেনেছে পুলিস। অমিত বেরা হিসেবেও তার আরও একটি পরিচয় আছে। সকলেরই বাড়ি নদীয়ার কল্যাণী থানার গয়েশপুরে। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। জেরায় সে প্রতারণায় অমিতের জড়িত থাকার কথা জানায়। সে এ ধরনের প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড বলে ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে পুলিস। অমিত প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে তা প্রীতম ও সৌম্যজিতে কাছে পাঠায় বলে জেরায় জানতে পারে পুলিস। এরপরই স্থানীয় থানার সাহায্যে গয়েশপুর থেকে তিনজনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। জেরায় ধৃতরা প্রতারণায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিসের দাবি। ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। তাদের তিনদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম। পুলিস জানিয়েছে, মঙ্গলকোট থানার শীতলগ্রামের ওই বাসিন্দা বর্তমানে বর্ধমান শহরের আয়কর আবাসনে থাকেন। তিনি আয়কর দপ্তরের কর্মী। গত বছরের ১৮ নভেম্বর তাঁর মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। মুম্বই পুলিসের পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করা হয়। সাইবার প্রতারণার ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ ৩৫ হাজার ১১৮ টাকা আদায় করে প্রতারকরা। 
  • Link to this news (বর্তমান)