• সম্প্রসারণের ত্রুটিতে জমছে জল, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের বাড়তি লেন নির্মাণের সময় নিকাশি নালা তৈরি করা হয়নি। উল্টে জেলার নিজস্ব নিকাশি নালাগুলি বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বর্ষার মরশুমে এক্সপ্রেসওয়ের দু’পাশের বিস্তীর্ণ গ্রামে জল জমে সমস্যা তৈরি হয়েছে। একদিকে যেমন গ্রামবাসীদের দুর্ভোগ বাড়ছে, তেমনই নানা পতঙ্গবাহিত রোগ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওই ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে ডেকে সতর্ক করল হুগলি জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, দ্রুত জল নিকাশির ব্যবস্থা না করা হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কর্তারা। অন্যদিকে, বৈঠকে হাজির জনপ্রতিনিধিরা নাগরিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

    সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলা পরিষদের মেন্টর সুবীর মুখোপাধ্যায়রা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে স্পষ্টভাষায় জাতীয় সড়ক কর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য বলা হয়েছে। বেচারামবাবু, সুবীরবাবুরা জাতীয় সড়ক কর্তাদের পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেন। এনিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনও বিবৃতি দিতে চায়নি। তবে বৈঠকেই কর্তারা জানিয়েছে, দ্রুত নিকাশি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দু’ধারের গ্রামে ডেঙ্গু মরশুমে জল জমে যাচ্ছে। একাধিক সাবওয়েতে জল জমে গিয়েছে। মানুষের ভোগান্তি ও রোগভোগের আতঙ্ক তীব্র হচ্ছে। অথচ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। আমরা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছি। তাতে কাজ না হলে নাগরিক আন্দোলন হবে। জেলা পরিষদের মেন্টর সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তাদের সব কাজই পরিকল্পনাহীন। আজও মাইতিপাড়ার যানজট কাটল না। উল্টে এক্সপ্রেস সম্প্রসারণের মাধ্যমে হুগলির গ্রামীণ এলাকার মানুষের জন্য সঙ্কট তৈরি করেছে জাতীয় সড়কের কর্তারা। বৈঠকে কর্তাদের যথেষ্ট ভৎর্সনা করা হয়েছে। এবার প্রশাসনিক পদক্ষেপ হবে।

    প্রশাসনের দাবি, ডানকুনি থেকে সিঙ্গুর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের দু’ধারের গ্রাম রীতিমতো জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। বেরাবেরি, আজমপুর, কাপাসারিয়া, ঘনশ্যামপুরের মতো গ্রামগুলির মানুষ জমাজল ও পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। বৈঠকে এক্সপ্রেসওয়ের সাবওয়েতে জল জমে যাওয়া নিয়ে তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সামান্য বৃষ্টিতেই রতনপুর, কোলেপাড়া, বোড়াইচণ্ডী মন্দির, জ্যোতিপাড়া, কাপাসারিয়া সাবওয়ে জলে ভরে যাচ্ছে। সেই জল দ্রুত নামছেও না। ফলে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য তৈরি সাবওয়ে কার্যত ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে থাকছে।
  • Link to this news (বর্তমান)