• জোকা আইআইএমে ধর্ষণকাণ্ডে নজরে আরও চারজন, মূল অভিযুক্ত পরমানন্দ গ্রেপ্তার, জেরা নিরাপত্তারক্ষীকে
    বর্তমান | ১২ জুলাই ২০২৫
  • কলকাতা: কলকাতা: দেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইএম জোকা ক্যাম্পাসে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেখানকার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পরমানন্দ ওরফে রাহুল জৈনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৪/৬৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আরও চারজনের। তাঁদের মধ্যে একজনকে আটক করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

    কসবার সাইথ ক্যালকাটা ল’কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তারই পুনরাবৃত্তি ঘটল আইআইএম জোকার ক্ষেত্রেও। অভিযোগপত্রে তরুণী দাবি করেছিলেন, ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় ভিজিটার্স বুকে নাম নথিভুক্ত করতে দেননি পরমানন্দ। বিষয়টি সে সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তারক্ষীর নজর কীভাবে এড়িয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।  বিশেষত, কসবা কাণ্ডের পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির জন্য আলাদা করে এসওপি জারি হয়েছে। রেজিস্টারের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষী কেন সক্রিয় হলেন না, খতিয়ে দেখছে পুলিস। এই ঘটনায় এক নিরাপত্তারক্ষীকেও জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

    এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতিমধ্যে পুলিসের কাছে এসেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এর আগেও ওই তরুণীকে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল রাহুল। পুলিসে দাখিল অভিযোগপত্রে তরুণী দাবি করেছেন, ঘটনার দিন কাউন্সেলিং সেশনের জন্য আইআইএমের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পরমানন্দ জৈন এদিন তাঁকে জোকা ক্যাম্পাসে যেতে বলেছিলেন। কর্মসূত্রেই ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কয়েকদিনের আলাপ নির্যাতিতার। তারপর কাউন্সেলিং সেশনের গন্তব্যে না গিয়ে ওই ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া তাঁকে ছেলেদের হস্টেলের দিকে নিয়ে যান। বলেন, একটা জরুরি জিনিস নিতে হবে। সেখানে গিয়ে তাঁকে পিৎজা খেতে দেন অভিযুক্ত ছাত্র। সঙ্গে যে পানীয় জল তাঁকে দেওয়া হয়, সেটি খেয়েই প্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন তরুণী। পানীয় জলে মাদক মেশানো ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
  • Link to this news (বর্তমান)