• কাশ্মীর যেতে ‘না’ শুভেন্দুর, কড়া প্রতিক্রিয়া শশী পাঁজার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ জুলাই ২০২৫
  • পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর পর্যটকদের ভিড় কমেছিল কাশ্মীরে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আবারও স্বাভাবিক হচ্ছে। এই আবহেই কাশ্মীরে যাওয়া প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। বাংলার মানুষকে কাশ্মীরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্র তথা নিজের দলের বিরুদ্ধেই কি মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা? তাঁর মূল বক্তব্য, মুসলিম অধ্যুষিত জায়গায় হিন্দু বাঙালিদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে না যাওয়াই উচিত। তবে তাঁর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

    পহেলগাম হামলার পর প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই কাশ্মীরের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও কাশ্মীরের পর্যটন নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় শুভেন্দু অধিকারী যে মন্তব্য করেছেন তা কেন্দ্র বা তাঁর দলের একেবারেই বিপক্ষ বার্তা।

    তিনি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে বলেছেন, ‘মুসলিম জনসংখ্যা বেশি যে জায়গায় সেখানে বাঙালিদের যাওয়া উচিত নয়। কাশ্মীরে যদি যেতেই হয়, জম্মুতে যান। সিঁদুর দেখে বেছে বেছে মেরেছিল। সচেতন নাগরিক হিসাবে বলছি, আমাদের তো হিমাচল প্রদেশ রয়েছে, সেই দেবভূমিতে যান। উত্তরাখণ্ডে যান। ওড়িশায় যান। গোটা দেশেই ঘোরা উচিত। আমি বিমানবন্দরে বিতান অধিকারীর স্ত্রী ও সমীর গুহের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওঁদের চোখের জল দেখেই বাঙালিদের বলছি, মুসলিম যেখানে বেশি সেখানে যাবেন না। আগে তো প্রাণ বাঁচান।’ তাঁর এমন মন্তব্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কিভাবে একজন বিধায়ক বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে নিশানা করে কোনও জায়গায় যেতে নিষেধ করতে পারেন?

    রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা তাঁর এই বক্তব্যের সাপেক্ষে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে। কাশ্মীরের পাশে থাকার বার্তা বিনিময় হয়েছে। জানি না শুভেন্দু অধিকারীর কী অ্যালার্জি হয়েছে।’ তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, কেউ এভাবে কোনও জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের মানুষকে কোনও নির্দেশ দিতে পারেন না। ফরমান জারি করতে পারেন না।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)