জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন চারজন। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদার রানি সরাইয়ের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি চারচাকা গাড়ি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারচাকা গাড়িটি আসানসোল থেকে খড়গপুর হয়ে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। গাড়িটিতে চালক সহ মোট চারজন ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি,চারচাকা গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল এবং আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো লেনে ঢুকে পড়ে। সেই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, চারচাকা গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেলদা থানার পুলিশ। গ্যাস কাটার ব্যবহার করে গাড়ির ভিতর থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কের ওই অংশে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িদুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এখনও পর্যন্ত মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের জন্য বিভিন্ন থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই জাতীয় সড়কে অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া চালানোর প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। ফলে প্রায়শই ঘটছে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। পুলিশের সক্রিয় নজরদারির দাবি তুলেছেন তাঁরা।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে একজনের নাম অতনু গুহ। তাঁর বাড়ি আসানসোলে। বাকি তিন জনের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ঠিক কী কারণে নিয়ন্ত্রণ হারাল গাড়িটি, তা স্পষ্ট নয়। গাড়িচালক মদ্যপ ছিলেন, গাড়ির গতি বেশি ছিল কিনা – তা জানা যায়নি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে একজনের নাম অতনু গুহ। তাঁর বাড়ি আসানসোলে। বাকি তিন জনের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চারজনই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বাসিন্দা। ট্রাকের সামনের অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে, ট্রাকের চালক ও খালাসি অক্ষত আছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।