• অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের হাতে ফোনের ‘চ্যাট’
    আনন্দবাজার | ১২ জুলাই ২০২৫
  • হোটেলের দোতলায় তৈরি করা হবে পানশালা এবং রেস্তরাঁ। সেই কারণেই দোতলায় সংস্কারের কাজ চলছিল। সেই কাজ নিয়ে আলোচনা চলত হোটেলের মালিক-সহ সংশ্লিষ্ট লোকজনকে নিয়ে তৈরি একটি ওয়টস্যাপ গ্রুপে। জোড়াসাঁকো থানা এলাকার মেছুয়ার ফলপট্টির ঋতুরাজ হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এই তথ্য। ওই ওয়টস্যাপ গ্রুপের কথাবার্তা তদন্তকারীদের হাতে এসেছে।

    গত ২৯ এপ্রিল ওই হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, দোতলায় সংস্কারের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের রান্নার জন্য রাখা ওভেন, গ্যাস থেকে আগুন লেগেছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিযুক্ত হোটেল-মালিক আকাশ চাওলা, ম্যানেজার গৌরব কপূর এবং ইন্টিরিয়র কাজকর্মের ঠিকাদার খুরশিদ আলম ও সাগির আলিকে। গত বৃহস্পতিবার আকাশের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক সুকুমার রায়। আদালত সূত্রের খবর, হোটেল-মালিক আকাশের ভাইপো অতুল চাওলাও হোটেলের এক জন ডিরেক্টর। কাকা-ভাইপো মিলে ওই ওয়টস্যাপ গ্রুপটি বানিয়েছিলেন।

    বিচার ভবনের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘হোটেলের ম্যানেজার গৌরব কপূরও ওই ওয়টস্যাপ গ্রুপের সদস্য। গ্রুপের কথোপকথন থেকে জানা গিয়েছে, সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, হোটেলের দোতলায় পানশালা-রেস্তরাঁ বানানো হবে। তার জন্য কী ভাবে কী করা হবে, তারও আলোচনা চলত ওই ওয়টস্যাপ গ্রুপে। এই কাজের জন্য ইন্টিরিয়রের দায়িত্ব খুরশিদকে দেওয়া নিয়েও ওই গ্রুপে আলোচনা হয়েছে।’’ তবে, অভিযুক্ত অতুল পলাতক।

    অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় গত ২৭ জুন কলকাতার এসিজেএম (১) আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। চার্জশিটেও উল্লেখ করা হয়েছে, হোটেলের দোতলায় রান্নার জন্য রাখা ওভেন ও গ‍্যাস থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)