• কর্মসংস্থান বেশি বাংলায়, উন্নত জীবনযাত্রার মানও, বলছে নীতি আয়োগের রিপোর্ট, কেন্দ্রের রিপোর্টে বাংলার সাফল্যের স্বীকৃতি
    প্রতিদিন | ১২ জুলাই ২০২৫
  • বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রের রিপোর্টে বাংলার সাফল্যের স্বীকৃতি। সদ্য প্রকাশিত নীতি আয়োগের ‘স্টেট সামারি রিপোর্ট ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল’-এ মেনে নেওয়া হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। এমনকী তা জাতীয়স্তরের মানের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বাংলার বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ২.২ শতাংশ, যেখানে দেশের গড় ৩.২ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ থাকলেও বাংলায় কর্মশ্রী, নিজস্ব প্রকল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেই এই সাফল্য এসেছে।

    বাংলা নিয়ে নীতি আয়োগের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “রাজ্য বছরের পর বছর ধরে জীবনযাত্রার মান সূচকে উন্নতি করেছে। ২০১৯-২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলার পরিবারের পানীয় জলের লভ্যতা জাতীয় মানদণ্ডের থেকে সামান্য বেশি এবং বিদ্যুৎ ও শৌচাগারের সুবিধাও জাতীয় মানের কাছাকাছিই।” নীতি আয়োগের মতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানের তরফে বাংলার জীবনযাত্রার মান নিয়ে এই তথ্য তাৎপর্যপূর্ণ। সারা দেশে বাংলা সবেতেই পিছিয়ে রয়েছে বলে কেন্দ্রের শাসক দল যে প্রচার লাগাতার চালিয়ে থাকে এই রিপোর্ট তার মুখের উপর ‘যোগ্য জবাব’ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    জীবনযাত্রার মান তো বটেই, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়ন, বেকারত্ব হ্রাস-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাংলা যে জাতীয় গড়ের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে সেই তথ্যও স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে নীতি আয়োগের রিপোর্টে। বাংলার শিশুমৃত্যুর হার থেকে শিক্ষা-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান নীতি আয়োগের রিপোর্টে প্রশংসা করা হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তুলনায় বাংলায় যে শিশুমৃত্যু বা স্কুলছুটের হার অনেকটা কম সে কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে কার্যকর বলেই মত নীতি আয়োগের। সেইসঙ্গে, পানীয় জল সরবরাহ, জীবনযাত্রার মান এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বাংলা জাতীয় গড়ের তুলনায় এগিয়ে, তা-ও স্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও মহিলাদের কর্মসংস্থানে যুক্ত হওয়ার হার এখনও কম বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

    প্রশাসনিক মহলের দাবি, কেন্দ্রীয় রিপোর্টে এই স্বীকৃতি বিরোধীদের সমালোচনাকে অনেকটাই ভোঁতা করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই রিপোর্টেরই প্রথম পাতায় ভারতের মানচিত্রে বাংলায় জায়গায় বিহার চিহ্নিত করা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)