• সোশাল মিডিয়ায় আলাপ, হস্টেলে ডেকে পিৎজা-মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে ‘ধর্ষণ’, IIM জোকা কাণ্ডে নয়া তথ্য
    প্রতিদিন | ১২ জুলাই ২০২৫
  • অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। তরুণীর সঙ্গে বন্ধুর সম্পর্কের অবনতি হয়। আইএমএম জোকার পড়ুয়ার কাছ পরামর্শ চান তরুণী। কলেজ চত্বরে আসতে বলা হয় তাঁকে। সেই অনুযায়ী কলেজের হস্টেলে যান তরুণী। এরপর হস্টেলে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আইআইএম জোকায় ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেল পুলিশ।

    তরুণীর দাবি, হস্টেলে যাওয়ার পর পিৎজা এবং নরম পানীয় খেতে দেয় দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি বেহুঁশ হয়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর অভিযুক্তের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিদেবপুর থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন। রাতেই হস্টেলে যায় পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে। একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক পরমানন্দ তোপ্পাঁওয়ার। সে ভিনরাজ্যের বাসিন্দা।

    কসবার আইন কলেজে ইউনিয়ন রুমে ছাত্রীর গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে যায়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিক্ষাঙ্গণে ধর্ষণের ঘটনা। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনা নিয়ে চলছে জোর কাটাছেঁড়া। প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এক তরুণী বয়েজ হস্টেলে ঢুকলেন? কেন নিরাপত্তারক্ষীরা আগেই বাধা দিলেন না? শোনা যাচ্ছে, সম্ভবত ভিজিটার্স বুকেও তরুণীকে সই করতে দেওয়া হয়নি। অভিযুক্ত যুবক পরমানন্দ কি তবে প্রভাবশালী? সে কারণেই তরুণীকে বয়েজ হস্টেলে ঢোকার পথে বাধা দেওয়া হয়নি? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। পুলিশ আপাতত নির্যাতিতার বয়ান এবং তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তদন্ত করছে। ধৃত যুবককেও দফায় দফায় চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)