উনি যে রাজবংশী তা জানাননি, কোচবিহারের বাসিন্দাকে NRC নোটিশ পাঠানো নিয়ে হিমন্ত
হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জুলাই ২০২৫
তিনি যে রাজবংশী সম্প্রদায়ের সদস্য তা আদালতকে না জানানোয় NRCর নোটিশ জারি হয়েছিল উত্তম কুমার রাজবংশীর বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, এই তথ্য পাওয়ার পর উত্তম ব্রজবাসীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজের নির্দেশ দিয়েছে তাঁর সরকার। তবে ওই ব্যক্তিকে অসমের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন বিজেপি শাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসী নামে এক ব্যক্তির কাছে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের নোটিশ পৌঁছয়। তাতে বলা হয়, তিনি যে বাংলাদেশি নন তা প্রমাণ করতে হবে। এর পরই শোরগোল পড়ে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাকে কী করে NRC নোটিশ পাঠাতে পারে অসম সরকার?
ওদিকে উত্তমকুমারবাবু দাবি করেন, তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ডে কোচবিহারের ঠিকানা রয়েছে। তিনি জীবনে কোচবিহারের বাইরে কোথাও যাননি। স্থানীয়রা জানান, বংশপরম্পরায় কোচবিহারের বাসিন্দা তাঁরা। এরই মধ্যে ব্রজবাসীর বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের মামলা খারিজের নির্দেশ দেয় অসম সরকার।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এই ঘটনা নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, এটা একটা আইনি প্রক্রিয়া। উনি যে রাজবংশী তা ওনার আইনজীবীরা আদালতকে জানাননি। উনি অসমেরই নাগরিক। অস্থায়ীভাবে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করেন। ওনার বিরুদ্ধে মামলা সম্ভবত এতদিনে খারিজ হয়ে গিয়েছে।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে দাবি করলে কেন তাঁকে কাস্ট সার্টিফিকেট দিল না রাজ্য সরকার? কেন গত ৮ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী এবিষয়ে টুইট করতেই তড়িঘড়ি করে তাঁর কাস্ট সার্টিফিকেট জারি করা হল? কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলে তো এই সমস্যার মুখে পড়তে হত না উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে।
৮ জুলাই বিডিও অফিসে বসে উত্তমকুমার ব্রজবাসী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে হঠাৎ বিডিও অফিসে ডেকে এনেছে। আমাকে আজই সার্টিফিকেট দেবে বলেছে। আমি এর আগে বহু বার সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু পাইনি। এরা বলেছিল বাপ – ঠাকুরদা চোদ্দ গুষ্টির কাগজ নিয়ে এসো। সে সব কোথায় পাব? ’
বলে রাখি, কয়েক মাস আগেই কোচ - রাজবংশীদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে থাকা সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি পরিচালিত অসম সরকার।