• স্নাতকে ভর্তির আবেদন সবচেয়ে বেশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে, জমা পড়েছে ৬.৪ লাখ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জুলাই ২০২৫
  • কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্যের কলেজগুলিতে স্নাতকে ভর্তির আবেদন চলছে। কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এই বছরের স্নাতক ভর্তি প্রক্রিয়ায় সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬,৪৭,৫৮৭ টি আবেদন জমা পড়েছে, যা রাজ্যের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।


    রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এই ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ৪৬০টি কলেজে স্নাতক স্তরের মোট ৭,২২৯টি কোর্সে ভর্তি হতে এখন পর্যন্ত ১৯,৩৬,৩২৯টি আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি আবেদন শুধুমাত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। এটি আবারও প্রমাণ করছে যে, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয়তা এখনও রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে আবেদন সংখ্যার দিক থেকে রয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় । উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১,৩৯,৯০০টি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়েছে ১,২২,৩৭৫টি আবেদনপত্র।

    অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৫,০৯৬টি, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৯,৫১৫টি, সিধো-কানহো-বীরশা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮১,৯৯৮টি, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭২,৯৭৬টি এবং বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩,০৩২টি আবেদন জমা পড়েছে। তালিকার একেবারে নীচে রয়েছে নতুন বা অপেক্ষাকৃত ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় জমা পড়েছে ৫,২০৭টি আবেদন, মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫,০১৪টি এবং রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬,২৮৯টি। ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন সংখ্যা যথাক্রমে মাত্র ৭০৮টি ও ৬৪৮টি। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়েছে ৩,৭২৮টি আবেদনপত্র।

    কেন কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন সংখ্যা এত কম? সে বিষয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অধিভুক্ত কলেজ না থাকায় ও তারা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আবেদন তুলনামূলকভাবে কম এসেছে।

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল আবেদন প্রসঙ্গে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আবেদন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সময়সীমা ১ জুলাই থেকে বাড়িয়ে ১৫ জুলাই করা হয়েছিল। এর ফলে প্রায় ২০ হাজার নতুন শিক্ষার্থী নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং জমা পড়েছে অতিরিক্ত ১.১ লক্ষ আবেদন।১ জুলাই পর্যন্ত ৩,২৫,৩৪২ জন পড়ুয়া ১৮,২৪,৯১৪টি আবেদন জমা দিলেও ১০ জুলাই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৪১ লক্ষ পড়ুয়া ও ১৯,৩৬,৩২৯টি আবেদন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)