সম্যক খান, মেদিনীপুর: প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ অ্যাখ্যা দেওয়া সংক্রান্ত বিতর্ক উঠল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকেও। শুক্রবার অ্যাজেন্ডায় উল্লেখ না থাকলেও জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যেন না ঘটে, সেই পরামর্শ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্ত কিশোর নন্দী জানিয়েছেন, বৈঠকে অনেক কিছুই আলোচনা হয়েছে। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছু বলার বিষয় নেই।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার। ইতিহাস অনার্সের প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্নে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবাদী শব্দটি উক্তিচিহ্নের মধ্যেও রাখা হয়নি। তা নিয়েই তিনদিন ধরে তীব্র বিরোধ চলছে। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে পরদিনই উপাচার্য দীপক কুমার কর সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন। বিভাগীয় প্রধান তথা ইউজি বোর্ড অফ স্টাডিজের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক নির্মল মাহাতোকে। একইসঙ্গে মডারেটর টিমের সদস্য থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অধ্যাপক প্রসেনজিৎ ঘোষকে।
এসবের পরও বিরোধ কমার কোনও লক্ষণ নেই। এই আবহেই গত শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সংস্থা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক হয়। প্রায় দু’বছর পর তা হয়েছে। দীপক কুমার কর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই প্রথম বৈঠক। রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত বৈঠক চলে। জানা গিয়েছে, বৈঠকের মাঝপথেই প্রশ্নপত্র বিতর্ক উত্থাপন করেন উচ্চ শিক্ষা সচিবের প্রতিনিধি তথা ওই দপ্তরেরই সিনিয়র বিশেষ সচিব চন্দনী টুডু। এরপরই উপাচার্য দীপক কর বিস্তারিত ঘটনার ব্যাখ্যা করেন। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনার পাশাপাশি জড়িত অধ্যাপকদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার বর্ণনা দেন। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়। যদিও বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, কী সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, সেসব নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।