Baksirhat Mystery Deadbody:সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। বাড়ি, পাড়া তন্নতন্ন করে খুঁজেও মেলেনি খোঁজ। অবশেষে বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার হল বধূর নিথর দেহ। দিনে দুপুরে এমন ঘটনায় হইচই কোচবিহারের বক্সিরহাট লাগোয়া ছোটগুমা এলাকায়।
পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতার মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। পাশাপাশি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ধুবড়ি জেলা হাসপাতালে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গৃহবধূকে খুন করে সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, সম্মতি চৌধুরী নামে ওই বধূ কোচবিহারের বক্সিরহাট লাগোয়া অসমের ছোটগুমার বাসিন্দা। তাঁর স্বামী মুন্না কর্মসূত্রে থাকেন গুয়াহাটিতে। তাঁদের একটি ছেলে রয়েছে। তিনি থাকেন কোচবিহারে। বাড়িতে শাশুড়ি ও দেওরের সঙ্গে থাকতেন সম্মতিদেবী।
শনিবার সকালে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও পূত্রবধূ দরজা না খোলায় ডাকাডাকি শুরু করেন শাশুড়ি মা। অবশেষে বৌমার সাড়া না পেয়ে দরজা খুলতেই হতবাক হয়ে যান শাশুড়ি। দেখেন বিছানার পাশে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। এরপরেই গৃহবধূর খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে বাড়ি সংলগ্ন মরা সংকোশ নদীর ধারে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
মৃতের ছেলে বিনায়ক চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁর মা বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁকে কেউ বা কারা খুন করে সেখানে ফেলে রেখেছে বলে তাঁদের অনুমান। এমন ঘটনায় হতভম্ব এলাকাবাসী। সকলেই চাইছেন বিষয়টি দ্রুত সমাধান হোক।