সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: শ্বশুরবাড়িতে ধর্না জামাইয়ের। এমনই ঘটনা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ভিঙ্গল গ্রামে। শনিবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, ১৩ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সেখপাড়ার আয়ুব আলি। ভিঙ্গল গ্রামের জাসমিন আরা পারভিন তাঁর স্ত্রী। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। যুবক পরিযায়ী শ্রমিক। প্রথমে স্ত্রীকে নিয়ে বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা হন যুবক। পরে স্ত্রীর নামে বাস্তুভিটে ও ১০ কাঠা জমি লিখে দেন বলে যুবকের দাবি। এখন সেই স্ত্রী বিশ্বাস ভেঙেছে। জড়িয়েছে পরকীয়ায়। যুবক ভিনরাজ্যে থাকাকালীন সেই বাস্তু ভিটে ও ১০ কাঠা জমি মোটা টাকায় বিক্রি করার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাততেই এই ফন্দি। প্রায় দু’বছর ধরে বাবার বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী। তাকে বাড়ি ফেরানোর জন্য বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন স্বামী। শেষমেশ স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া ও জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শ্বশুরবাড়িতে ধর্নায় বসেন জামাই।
আয়ুব আলি বলেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। কাজের সূত্রে আমাকে বছরের বেশিরভাগ সময় ভিনরাজ্যে থাকতে হয়। সেই সুযোগেই পরপুরুষের সঙ্গে প্রেম করত। দু’জনকে একাধিকবার হাতেনাতে ধরেছি। আমাকে না জানিয়ে স্ত্রী তার নামে থাকা বাস্তুভিটা ও ১০ কাঠা জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এখন আমার থাকার জায়গা নেই। তবে ওকে ভালোবাসি বলে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এসেছি।
বধূর বাবা জান্নাতুল ফিরদৌস বলেন, মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। কয়েকবার সালিশি হয়েছে। ১০ কাঠা জমি মেয়েকে কিনে দিয়েছিলাম। সেই জমি বিক্রি করেছে মেয়ে। দু’বছর ধরে আমার বাড়িতে রয়েছে মেয়ে। থানায় অভিযোগ করেছি। নিজস্ব চিত্র