সংবাদদাতা মালদহ: রাজ্যের বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলিতে লক্ষ্যণীয় ভাবে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এবার তাই পড়ুয়াদের প্রতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আরও বেশি নজর দিতে মালদহের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে চালু হল ‘নো মোর ব্যাক বেঞ্চার’ পদ্ধতিতে পঠনপাঠন। শিক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকদের পরামর্শেই এই নতুন ধারার শিক্ষণ পদ্ধতি চালু হল মালদহে। ক্লাসরুমে পড়ুয়াদের প্রথাগত বসার ব্যবস্থায় বদল এনে এই অভিনব শিক্ষাদান পদ্ধতির সূচনা হয়েছে শনিবার। প্রথমদিন নতুন এই শিক্ষণ পদ্ধতির ইতিবাচক দিক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মালদহের বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। শিক্ষিকারাও মনে করছেন অত্যন্ত উপযোগী হবে নতুন পাঠদান পদ্ধতি।
এদিন মালদহের শতাব্দী প্রাচীন বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ৫৫ জন ছাত্রী প্রথমবার ক্লাস করল ‘নো মোর ব্যাক বেঞ্চার’ পদ্ধতিতে। অর্ধবৃত্তাকারে বসে তাদের সকলেই শিক্ষিকাদের মুখোমুখি হয়ে শিখল ইতিহাস, গণিত, কর্মশিক্ষা। ক্লাসের আরুষি মালী, কৃত্তিকা মণ্ডলরা জানায়, সামনের বেঞ্চে বসার সুযোগ না হলে পিছনে বসতে হয়। তাতে কিছুটা অসুবিধা তো হয়ই। আবার ব্ল্যাকবোর্ডের সব লেখা পড়তেও কিছু অসুবিধা হয়। এই নতুন পদ্ধতিতে অনেক সুবিধা হচ্ছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার বলেন, ক্লাসরুমে পড়ানোর প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল সব পড়ুয়ার প্রতি সমান নজর দেওয়া। ক্লাসের পিছনের বেঞ্চে বসা পড়ুয়াদের অনকে সময় মনোযোগের সমস্যা হয়। নতুন এই পদ্ধতি শুধু আকর্ষণীয় নয়, ক্লাসরুমের শিক্ষাদান পদ্ধতিকে আরও বেশি পড়ুয়া কেন্দ্রিক করে তুলবে।
মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস এদিন হাজির ছিলেন বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব শুভ্র চক্রবর্তী এবং উপ অধিকর্তা (প্রশাসন) চিন্ময় সরকারের পরামর্শে আজ সূচনা করা হল। প্রথম দিনই নতুন মডেল সাড়া ফেলেছে।
তিনি আরও বলেন, গতবছর মুক্তিপ্রাপ্ত মলয়ালি ছবি ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’ এই সংবেদনশীল বিষয়টিই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিল। আর তাতেই কেরলের বিভিন্ন স্কুলে বড় পরিবর্তন চোখে পড়ছে। সেখানকার শ্রেণিকক্ষে ‘ফার্স্ট বেঞ্চার’, ‘লাস্ট বেঞ্চার’-এর চিরাচরিত ধারণায় ইতি টানা হচ্ছে। নতুন করে সাজানো হচ্ছে শ্রেণিকক্ষগুলিকে। যেখানে বসার আসনের নিরিখে কেউ কারও থেকে এগিয়ে বা পিছিয়ে থাকবে না। এবার মালদহেও এই ব্যবস্থা চালু হল। নিজস্ব চিত্র