• রোজগার মেলায় এসে ভোটের রাজনীতির অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয়ের বিরুদ্ধে
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে কেন্দ্রীয় সরকারের রোজগার মেলায় এসে ভোটের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় তামটার বিরুদ্ধে। শনিবার এনজেপিতে রেলের অফিসার্স গেস্ট হাউসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরিপ্রাপ্ত নবনিযুক্তদের হাতে  নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় তামটা। অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। 

    সেখানে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় শিলিগুড়িতে রিং রোড তৈরি করতে পারছে না কেন্দ্রীয় পরিবহণ দপ্তর। জমি দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও রাজ্য সরকার কেন্দ্রের প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছে না। এই রিং রোড তৈরির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পরিবহণ দপ্তর সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি গোটা রাজ্যের সড়ক ব্যবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন।

    কেন্দ্রীয় সরকারের রোজগার মেলা অনুষ্ঠানে এসে অজয় তামটার এই বক্তব্যকে ভোটের প্রচার হিসেবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্য নেতা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, যদি সত্যিই এমন ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রকের উচিত রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। বিষয়টি দুই সরকারের অফিসারদের মাধ্যমে এগনো উচিত।  একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এভাবে সাংবাদিকদের কাছে বলাটা ঠিক নয়।  আসলে ভোট এগিয়ে এলেই বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা এধরনের ভিত্তিহীন কথা বলে বেড়ান। 

    এই অনুষ্ঠানের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাটিগাড়ায় যান বালসন- সেভক চার লেনের রাস্তার কাজ দেখতে। সেখানেও তিনি সাংবাদিকদের কাছে একই অভিযোগ করেন। তার আগে রোজগার মেলাতেও তিনি কর্মসংস্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃতিত্ব ব্যাপকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অজয় তামটা বলেন, দেশে চাকরির অভাব নেই। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল এবং ইন্ডাস্ট্রি। এতে কাজের জায়গাও বাড়ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদগুলিও পূরণ করা হচ্ছে।

     এদিনের এই রোজগার মেলায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, বিজেপির চার বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ বর্মন ও দুর্গা মূর্মূ এবং উত্তর-পূর্ব রেলের কাটিহারের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার। তিনি বলেন, এদিন এখান থেকে ৭৯ জনের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। এর মধ্যে ৭৫ জন রেলে এবং বাকি চারজন পোস্টাল বিভাগে চাকরি পেলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)