• চিরকুট বিতর্কে সুকান্তর বিরুদ্ধে পুলিসের দ্বারস্থ মফিজউদ্দিন
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট: চিরকুট বিতর্ক নিয়ে বালুরঘাটের সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিয়াঁ। তাঁর অভিযোগ, কুমারগঞ্জে ঠিকাদারদের মাধ্যমে সাব স্টেশন ম্যানেজারের সই ও সিল করা কাগজ বিজেপি জোগাড় করে। চক্রান্ত করে সেই কাগজ বিকৃত করে বিজেপিই এই কাজ করেছে। কুমারগঞ্জের বিজেপি নেতা তথা এসটি মোর্চার সভাপতি এবং সুকান্ত মজুমদারের আপ্তসহায়ক মিলেই এই চক্রান্ত করেছে। তৃণমূল নেতার আরও অভিযোগ, কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল, বিদ্যুৎ দপ্তরের সাবস্টেশন ম্যানেজার নাজিমুল হক এবং আমি-তিনজনই সংখ্যালঘু। তাই বিজেপি ষড়যন্ত্র করে এই ধরনের কাজ করেছে। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করে এমন একাধিক অভিযোগ সামনে এনেছেন মফিজউদ্দিন। বিজেপির পাল্টা দাবি, সুকান্ত মজুমদারের হাতে উপযুক্ত প্রমাণ না থাকলে তিনি ওই চিরকুটটি পোস্ট করতেন না। তৃণমূল যতই সাংবাদিক বৈঠক করুক, সত্য কখনই ধামাচাপা দেওয়া যাবে না।

    মজিফউদ্দিন বলেন, কুমারগঞ্জের বিদ্যুত্ বণ্টন কোম্পানির অফিস থেকে ঠিকাদারদের কাছে অনেক অর্ডার কপি যায়। সেখানে সাবস্টেশন ম্যানেজারের সই, সিল থাকে। কোনও এক ঠিকাদারের মাধ্যমে সুকান্তর আপ্ত সহায়ক এবং কুমারগঞ্জের বিজেপি নেতা সুশীল মার্ডিরা চক্রান্ত করে ওই অর্ডার কপি জোগাড় করে নিজেদের মতো লিখেছে। সইয়ের সঙ্গে ওই লেখার কোনও মিল নেই। সেখানে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। তাই সাইবার ক্রাইম থানায় সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। 

    এবিষয়ে সুকান্তকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। তবে, বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, সুকান্ত মজুমদারের হাতে প্রমাণ ছিল বলেই এই পোস্ট করেছেন। প্রমাণ ছাড়া কিছু করেন না তিনি। তৃণমূল মামলা করতেই পারে। তবে, তারা যে চাকরি চুরি করেছে, সেটা প্রমাণিত। 

    বিজেপির এসটি মোর্চার সভাপতি সুশীল মার্ডির দাবি, চিরকুট তৈরির সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। তৃণমূল যদি এই ধরনের অভিযোগ করে, তাহলে আমিও আইনের দ্বারস্থ হব। তবে, ওই চিরকুটে আমার সম্পর্কে যে কথা লেখা আছে, তা সত্যি। আমার বাবার নামেই বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। বিজেপি করি বলে চক্রান্ত করে সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। 

    গত বৃহস্পতিবার একটি চিরকুট সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন সুকান্ত। সেখানে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিয়াঁর সুপারিশে ছয় লক্ষ ৫২ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ছিল। বিজেপির এক নেতাকে ফাঁসানোর জন্য তৃণমূল বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ  ছিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের  আধিকারিক ওই চিরকুট ভুয়ো বলে দাবি করে পাল্টা আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)