• সদাইপুরে জঙ্গল থেকে তরুণীর দেহ উদ্ধার, খুনির খোঁজে তল্লাশি
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো। পাশেই পড়ে রয়েছে চটি, রুমাল ও জলের বোতল।  জঙ্গল থেকে এই অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৩০ বছরের এক তরুণীর মৃহতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য‌ দানা বেঁধেছে। শনিবার সকালে সদাইপুর থানা এলাকার রাধামাধবপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ওই তরুণীর মৃতদেহ পড়েছিল। ধর্ষণ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ। সদাইপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে। খুনের আশঙ্কা করেই পুলিস তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছে। পরিবারের লোকজনদের দাবি, খুনি মৃতার মোবাইল নিয়ে চলে গিয়েছে। এছাড়া বেশ কিছু অলঙ্কারও শরীরে ছিল না। এই ঘটনার নেপথ্যে প্রেমের কোনও সম্পর্ক ছিল কি না তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সমস্ত কিছু স্পষ্ট হবে। মৃতার মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। 

    পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার বাড়ি দুবরাজপুর থানা এলাকায়।  শুক্রবার বিকাল চারটা নাগাদ আলম বাবার মেলায় যাওয়ার জন্য ওই মহিলা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর সময় গড়ালেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা চিন্তায় পড়েন। শুরু হয় খোঁজ খবর। সবশেষে এদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন বক্রেশ্বর নীল নির্জন জলাধার থেকে রাজগঞ্জ-করমকাল যাওয়ার রাস্তায় রাধামাধবপুর গ্রাম সংলগ্ন নির্জন জঙ্গল থেকে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরপরই পরিবারের সদস্যরা সদাইপুর থানায় পৌঁছান। তাঁরা মৃতদেহ শনাক্ত করেন।  ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আট বছর আগে প্রতিবেশী জেলার এক বাসিন্দার সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল। বছর এক বাদে স্বামী মারা যেতেই সন্তানকে নিয়ে তিনি বাপের বাড়ি ফেরেন। বর্তমানে ছেলের বয়স আনুমানিক সাত বছর। তিনি বাড়িতেই বিড়ি বাঁধার কাজ করতেন। তবে, কারও সঙ্গে ওই মহিলার প্রেমের কোনও সম্পর্ক ছিল কি না সেবিষয়ে অবশ্য পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত নন। যদিও এক আত্মীয়র দাবি, বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছি এক যুবকের সঙ্গে তিনি ঘোরাঘুরি করতেন। মৃতার কাকা বলেন, শরীরে একাধিক আঁচড়ের দাগ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ওঁর হাতের আংটি সহ সোনার অলঙ্কার উধাও। মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। আমাদের আশঙ্কা, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আমরা দোষীর শাস্তি চাই। 
  • Link to this news (বর্তমান)