• বরুণ হত্যাকাণ্ডে স্থগিত হয়ে যায় ভাইঝির বিয়ে, গোঘাটে ৫ দিন পর আড়ম্বর ছাড়াই বিয়ের আসর যুবতীর
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, গোঘাট: বরুণ দাসের হত্যাকাণ্ডের জেরে তাঁর ভাইঝির বিয়ে স্থগিত গিয়েছিল। বরুণবাবুর পচাগলা দেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর শনিবার গোঘাটের রাজগ্রামে ওই যুবতীর বিয়ের আসর বসল। পরিবারের সবার মন ভারাক্রান্ত থাকায় অনাড়ম্বর আয়োজনেই বিয়ের অনুষ্ঠান সারলেন বরুণের আত্মীয়রা।

    গত ৭ জুলাই বরুণের ভাইঝির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার আগের দিন ৬ জুলাই বরুণের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। ফলে বিয়ে স্থগিত হয়ে যায়। পাত্রীর কাকা তরুণ দাস বলেন, ওই সময় আর বিয়েবাড়ি আয়োজন সম্ভব ছিল না। সেই জন্য সবার মতামত নিয়ে এদিন বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

    বরুণের কাকা তাপস দাস বলেন, বিয়েবাড়ির জন্য প্যান্ডেল তৈরি, আলোকসজ্জার কাজ হয়ে ছিল। নানা কাঁচা খাদ্যসামগ্রীর অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তার মধ্যেই ওই ঘটনা ঘটে যায়। তাই এখন যৎসামান্য আয়োজনে বিয়ে হচ্ছে। বরুণের মৃত্যুর পর আত্মীয়রা তাঁর বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁরা এঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন।

    গত ৩ জুলাই রাত থেকে রাজগ্রামের দাসপাড়ার বাসিন্দা বরুণ নিখোঁজ ছিলেন। ৬ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে বড় পুকুরের ঝোপে তাঁর পচাগলা দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। বরুণকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মিতা দাসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মিতার সঙ্গে পাশের গ্রামের বাসিন্দা তন্ময় ওরফে তাপস দাসের পরকীয়া ছিল। সেই সম্পর্কে পথের কাঁটা সরাতে পরিকল্পনা করে বরুণকে খুন করা হয়। এখন তারা দু’জনই পুলিস হেফাজতে রয়েছে। পুলিস জেরায় জানতে পেরেছে, তন্ময় ও অপর এক অভিযুক্ত বরুণকে গ্রামেরই পুকুরের পাড়ে মদ খাওয়ায়। তারপর সেখানে নাক, মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে। দেহ টেনে অন্য পুকুরের পাড়ে ঝোপে ফেলে দেয়। পুলিস ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করেছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)