রাস্তায় ধস নামায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোপীবল্লভপুরে কাঠের সাঁকো তৈরিতে স্বস্তি
বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: টানা বৃষ্টি ও জল ছাড়ায় সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সুমিত্রাপুর থেকে আঁধারকুলি যাওয়ার একমাত্র পিচ রাস্তা কয়েকদিন আগে ধসে গিয়েছিল। এলাকার ১৮টি গ্ৰামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে রাস্তায় কাঠের সাঁকো তৈরি করায় খুশি বাসিন্দারা।
ভারী বৃষ্টির জেরে রাস্তায় ধস নামছে। সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া কয়েকদিন আগে গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ ব্লক পরিদর্শন করেন। নদীর পাড় বাঁধানোর সঙ্গে ধসে যাওয়া রাস্তা দ্রুত সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের সারিয়া পঞ্চায়েতের গুঁড়িপুকুর এলাকার ধসে যাওয়া রাস্তা পরিদর্শন করেছিলেন খোদ জেলাশাসক। রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় সুমিত্রাপুর থেকে আঁধারকুলি সহ ১৮টি গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় গ্ৰামের বাসিন্দারা চরম সমস্যায় পড়েন। সুমিত্রাপুরের ওই রাস্তা দিয়ে স্কুলপড়ুয়ারা পাঁচকাহানিয়া হাইস্কুলে আসে। রাস্তা ধসে যাওয়ায় পড়ুয়াদের স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে যায়। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব, সারিয়া অঞ্চলের নেতা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। আপাতত কাঠের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আঁধারকুলি গ্ৰামের বাসিন্দা অজয় টুডু বলেন, মাঠের জমা জল বের হতে পারছিল না। জলের স্রোতে রাস্তায় ধস নামে। যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কাঠের সাঁকো তৈরি হয়ে গিয়েছে। তার উপর দিয়ে যাতায়াত করছি। মাথাসাই গ্ৰামের বাসিন্দা সাগর বেরা বলেন, কবে রাস্তা সংস্কার কবে তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলাম। শাসকদল ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে কাঠের সাঁকো হয়েছে। সারিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার দাস বলেন, পঞ্চায়েতের তরফে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা সম্ভব ছিল না। প্রাথমিকভাবে যাতায়াত চালু করতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার ছিল। সেকারণে দ্রুত কাঠের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হেমন্ত ঘোষ বলেন, কাঠের সাঁকো দিয়ে স্থানীয় মানুষজন যাতায়াত করতে পারছেন। পরবর্তীতে প্রশাসনিকভাবে পাকাপোক্ত রাস্তা করে দেওয়া হবে।