বার বার অভিযোগ উঠলেও ব্যবস্থা নিতে পুলিশি টালবাহানার ফলে যা ঘটে, কার্যত সেটাই এ বার দেখা গেল। সিটি কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অঙ্কের শিক্ষক রাজদীপ মাইতিকে এ বার কলেজ স্ট্রিটে তাঁর কলেজের সামনে থেকে কয়েক জন ধরে থানায় নিয়ে গেলেন। সমাজমাধ্যমের ছবিতে অনেকেই রাজদীপকে ঘিরে ধরার দৃশ্য মেলে ধরেছেন। রাজদীপের বিরুদ্ধে সিপিএমের তরুণ নেত্রী, সমর্থকদের নামে বার বার কুৎসিততম কুকথা বলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো করে ছুরি হাতে এক গবেষককে হুমকিও দেন তিনি। বার বার বলা হলেও কুৎসিত ভাষা বলা থেকে তিনি বিরত থাকেননি বলে অভিযোগ।
শনিবার আবার সমাজমাধ্যমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাজদীপকেই চড়-থাপ্পড় মারা হচ্ছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মধুজা সেন রায় বলেন, “এর আগে পুলিশকে বার বার রাজদীপের বিষয়ে বলা হলে ওঁরা বলেন, ওঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের কয়েক জন কর্মী ওঁকে ধরে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় নিয়ে যান।” পরে তাঁদের মুচিপাড়া থানায় যেতে বলে পুলিশ। তবে এ দিনও মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বরং পরে রাতে রাজদীপ একা থানায় গিয়ে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ জমা দেন। এক জন কলেজ শিক্ষক কী করে সমাজমাধ্যমে মেয়েদের বিষয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি, রাজদীপের কলেজ কর্তৃপক্ষ কেন তাঁর বিষয়ে পদক্ষেপ করছেন না, সে প্রশ্নেরও সদুত্তর মেলেনি। তৃণমূলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ওয়েবকুপা অবশ্য স্থানীয় স্তরে রাজদীপের কাছে তাঁর আচরণের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। রাজদীপ তাঁর সমাজমাধ্যমের পোস্ট কয়েক জন অ্যাডমিনের করা বলে দাবি করেন, যা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। ওয়েবকুপা সূত্রের খবর, রাজদীপ তাঁর পোস্ট অনিচ্ছাকৃত বলেই দাবি করেন। তাঁর থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত উত্তর এখনও আসেনি। তবে রাজদীপের পোস্টে নানা অপশব্দ এখনও দৃশ্যমান।