নাগাড়ে বৃষ্টিতে যশোর রোডের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়েছে। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। চলাচলে অসুবিধার কথা জানিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন এই পথের নিত্যযাত্রীদের কয়েক জন।
বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত ১১২ নম্বর জাতীয় সড়ক যশোর রোড নামেই বিশেষ পরিচিত। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এই রাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিত্যদিন হাজারো মানুষের যাতায়াত। বড় পণ্যবাহী গাড়ির চলাচল প্রচুর।
জাতীয় সড়ক দফতর সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে এই রাস্তাটি সংস্কার করা হয়েছিল। আপাতত বারাসত থেকে দত্তপুকুর পর্যন্ত পথ বেহাল। বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গর্তের আকার নিয়েছে। বর্ষায় জল জমে পরিস্থিতি ভয়াবহ। এলাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
দত্তপুকুরের বাসিন্দা নেপাল বিশ্বাস ও বামনগাছির শুভঙ্কর দাসেরা অভিযোগ করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে। তাঁরা বলেন, ‘‘জীবন হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাতে খুবই অসুবিধা হয়। প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।’’
ওই দফতর সূত্রের খবর, বারাসত থেকে বনগাঁ পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। গত এপ্রিলে টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে। এই সড়কের দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের কথায়, ‘‘রাস্তায় জল জমার জন্যই দ্রুত খারাপ হচ্ছে। নয়ানজুলিতে জল জমছে আশপাশের এলাকার। জল নিকাশির ব্যবস্থা নেই। এই সব কারণেই জাতীয় সড়কের বিভিন্ন এলাকায় জল জমে থাকে। এর ফলে পিচের আস্তরণে ক্ষতি হচ্ছে। নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করতে না পারলে রাস্তা টেঁকসই হবে না।’’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এই রাস্তা সংস্কার হবে আধুনিক পদ্ধতিতে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চুক্তি করা হচ্ছে একটি এজেন্সির সঙ্গে। পরবর্তী পাঁচ বছর এই রাস্তা ওই এজেন্সি রক্ষণাবেক্ষণ করবে।’’
জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দিয়েছিলাম। পাশাপাশি, রাজ্য স্তরেও মেরামতের জন্য দরবার করেছিলাম। শুনেছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’