টানা বৃষ্টি আর জলাধারের ছাড়া জলে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করেছিল প্রশাসন। বাস্তবে হলও তাই। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বানভাসি পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। শনিবার শহরের রাস্তায় নামাতে হয়েছে নৌকা। এখন নৌকাই শহরবাসীর যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। জলবন্দি জীবনে ঘটছে বিপর্যয়ও। এ দিন শহরের দু’নম্বর চাতাল লাগোয়া ঘিসরা এলাকায় নিতাই ডোগরা নামে এক প্রৌঢ় বন্যার জলে তলিয়ে যান। তাঁর খোঁজে স্থানীয়েরা তল্লাশি চালালেও খোঁজ মেলেনি।
নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং জলাধারগুলির ছাড়া জলে সম্প্রতি ঘাটাল শহর-সহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রতি ঘণ্টায় নদ-নদীর জলস্তর বেড়ে ব্যাহত হয়েছিল স্বাভাবিক জীবন। জলস্তর বাড়তে থাকায় শুক্রবার থেকে সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে। সমস্যায় পড়েন ঘাটাল পুর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার বাসিন্দা। শুরু হয় পানীয় জলের সঙ্কট। শহরের নিচু এলাকার সমস্ত মূল ও শাখা রাস্তায় কোমর সমান জল। সেখানে ছোট নৌকা এবং ডিঙিতে করে দৈনন্দিন কাজ সারছেন বাসিন্দারা।
একই ছবি ঘাটাল ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রামের। জলমগ্ন দাসপুর-১ ব্লকের নাড়াজোল ও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। এ দিন ঘাটালের দাসপুরে প্রশাসন থেকে রান্না করা খাবার বিলি করা হয়। দুর্গতদের খাবার পৌঁছে দেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস, বিডিও অভীক বিশ্বাস। বন্যায় সমস্যায় গৃহপালিত প্রাণীরাও। তুলনামূলক উঁচু নদী বাঁধে ঠাঁই হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের গবাদি পশুর। প্রশাসনের তরফে তাদের জন্যও খাবার বিলি করা হচ্ছে। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, ‘‘ঘাটালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সাধারণ মানুষ যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’