• বাঁকুড়ায় ২০ দিনে ডুবে মৃত ৬
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৩ জুলাই ২০২৫
  • বৃষ্টি কমলেও জলযন্ত্রণা থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাঁকুড়া। শনিবারও দ্বারকেশ্বর নদে ডুবে একজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। মৃতের নাম সঞ্জয় বাগদি। বিষ্ণুপুর থানার অবন্তিকা গ্রামের কাছে নদে ডুবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই নিয়ে গত ২০ দিনে দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে বাঁকুড়ায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিন জাঁতাডুমুর জলাধার থেকে ছাড়া জলে নতুন করে ডুবেছে ভৈরোবাঁকি নদীর উপর থাকা কাঁটাপাল কজওয়ে। পাশাপাশি দ্বারকেশ্বর নদের একাধিক কজওয়ে এখনও জলের তলায়।

    মৃত যুবকের বাড়ি ওন্দা থানার মালপুর গ্রামে হলেও তিনি বিষ্ণুপুর থানার ভাটরা গ্রামে থাকতেন। সেখানে একটি রাইস মিলে কাজ করতেন। এ দিন তাঁর দেহ উদ্ধার করে বিষ্ণপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবক সেতুর গার্ডওয়াল টপকে দ্বারকেশ্বরে নামার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলে তলিয়ে যান তিনি। তদন্তকারীরা গার্ডওয়ালের এক জায়গায় রক্তের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন।

    গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে বাঁকুড়ায় ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে জলযন্ত্রণা মেটেনি। কেঞ্জাকুড়া, মীনাপুর ও ভাদুল কজ়ওয়ে জলে ডুবে থাকায় যাতায়াত করতে পারছেন না বাসিন্দারা।

    দুর্ভোগে রয়েছেন দ্বারকেশ্বর নদের দুই পারের বাসিন্দারা। ভৈরোবাঁকি নদীর উপর জাঁতাডুমুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় বেড়েছে চিন্তা। এর জেরে কাঁটাপাল কজওয়ে জলের তলায় চলে যাওয়ায় বাঁকুড়ার ফুলকুসমা থেকে ঝাড়গ্রামের বিনপুরে যেতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কারণ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম রাজ্যসড়কের বিকল্প হিসেবে এই রাস্তাটা ব্যবহার করা হত। বর্তমানে এই কজওয়ে দিয়ে হেঁটেও পারাপার হওয়া যাচ্ছে না।

    টানা বৃষ্টির কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে দ্বারকেশ্বর নদীর জল। এর আগে দ্বারকেশ্বরে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৪ পড়ুয়ার। তাঁদের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। এই নিয়ে স্কুলে স্কুলে সতর্কতামূলক প্রচারও করা হয়। বর্তমানে বৃষ্টি কমলেও দুর্ভোগ কমেনি। সামনে আসছে মৃত্যুর খবরও।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)