দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা খুনে অবশেষে গ্রেপ্তার এক। রবিবার গ্রেপ্তার দলেরই নেতা। অভিযুক্তের নাম মোফাজ্জেল মোল্লা। ধৃত পাশের বুথের সভাপতি তথা ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কমিটির সদস্য। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, ধৃত তৃণমূল নেতাই নন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্জাক খুনের ঘটনার সময় অকুস্থলে হাজির ছিলেন মোফাজ্জেল। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে তাঁকে দেখা গিয়েছে। মোফাজ্জেল সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও মোফাজ্জেল নিজে রজ্জাককে খুন করেছে নাকি খুন করতে সহায়তা করছে সে বিষয়ে এখনও পুলিশ কিছু বলেনি।
বাড়ি থেকে অদূরেই শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর তোলপাড় বলে রাজ্য রাজনীতিতে। উত্তর কাশিপুর থানার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর, গুন্ডা দমন শাখা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুঁদে অফিসারা তদন্ত করছেন। পাশাপাশি খোদ লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান রুপেশ কুমার এবং ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষও ঘটনায় বিশেষ নজর দিয়েছেন।
পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে,খোদ লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোফাজ্জল-সহ আটক ব?্যাক্তিদের জিঞ্জাসাবাদ করেন। শেষে এই ঘটনার সঙ্গে মোফাজ্জেলের যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বিধায়ক শওকত মোল্লার এখনও দাবি, এই খুনের ঘটনায় যুক্ত রয়েছে আইএসএফ। অভিযুক্তকে তৃণমূল নেতা বলা হলেও তিনি তৃণমূলের নেতা নয় বলে দাবি করেছেন শওকত।
দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি রাজ্জাক খাঁ। রজ্জাকের বাড়ি ভাঙড় বাজারের মরিচা এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় বৈঠক থেকে বাড়ি ফেরার সময় খুন হন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে পরপর তিনটি গুলি করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। সেই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।