অর্ণব আইচ: কলেজ জুড়ে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ। যখন তখন অন্য ছাত্রছাত্রীদের হুমকি দেওয়া। ইচ্ছা হলেই হস্টেলের রুমে মদ্যপান ও ‘মোচ্ছব’। আইআইএম জোকার ক্যাম্পাসে তরুণী মনোবিদের যৌন নিগ্রহ ও তাঁর ধর্ষণের ঘটনার পর অভিযুক্ত পরমানন্দ মহাবীর টোপ্পান্নাবার ওরফে পরমানন্দ জৈনের একের পর এক ‘কীর্তি’ সামনে এসেছে পুলিশের।
পুলিশ আধিকারিকদের কাছে খবর, ওই কলেজ ক্যাম্পাসে মহিলা তথা বান্ধবীদের ডেকে নিয়ে আসা পরমানন্দর কাছে নতুন নয়। এর আগেও তার হাত ধরে একাধিক মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকেছিলেন বলে খবর পুলিশের কাছে। পুলিশ জেনেছে, এমবিএ-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পরমানন্দ কলেজের একটি কমিটিতেও ছিল। সেই সূত্র ধরেই কলেজে ‘দাদাগিরি’ ফলানোর চেষ্টা করত সে।নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে রেখেছিল। কোনও নিরাপত্তারক্ষী কথা না শুনলে তাঁকে পরমানন্দের হুমকির মুখে পড়তে হত। তাই কোনও বহিরাগত সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কলেজে নিয়ে এলেও পরমানন্দের ‘নির্দেশে’ কলেজের গেটের রেজিস্টার খাতায় ওই ‘অতিথি’র কোনও নাম লেখা হত না।
বিভিন্ন ‘কীর্তি’র কারণে পরমানন্দর বিরুদ্ধে আইআইএম জোকা কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে। তাই সে কলেজের ভোটে দাঁড়াতে পারেনি। তবে তাতে তার রোয়াব কমেনি। মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পরমানন্দ নিজের ভুয়ো ‘জৈন’ পদবি ব্যবহার করত। তবে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সে। চারটি ভাষায় দক্ষ পরমানন্দ ম্যানেজমেন্ট প্রবেশিকার পরীক্ষায় সে পেয়েছিল ৯৯.৭৩ শতাংশ। স্কুল থেকে মেধাবী পরমানন্দ ২০২২ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংও পাশ করে। সেই যুবকের বিরুদ্ধেই উঠল ধর্ষণের অভিযোগ। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে সে।