• বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রভাব ভারতে কীভাবে! পেট্রোপালে অবস্থান-বিক্ষোভ থেকে উঠে এল সত্যিটা...
    আজকাল | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: এক বছর পার। উত্তাল বাংলাদেশ বাইরে থেকে এখন কিছুটা স্তিমিত দেখালেও, মাঝে মাঝেই দেশের ভিতরে গর্জে ওঠে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তি হতে চলল। এখনও সঠিক কবে নির্বাচন হবে সে দেশে তা জানা যায়নি। মাঝখান থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বদল করছে কেবল হাসিনা প্রবর্তিত নিয়মের। দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল হাসিনা জমানার ‘সম্বোধন’ নিয়ম বদলে ফেলবেন ইউনূস। মুজিব কন্যা নিয়ম করেছিলেন, দেশের সকল মহিলা পদাধিকারীদেরও স্যার বলেই ডাকতে হবে। ইউনূসের মতে তা একেবারেই যথাযথ নয়, তাই বদলে ফেলতে হবে।

    এসব হলেও, বাংলাদেশের নানা খাত এখনও সচল হয়নি। তার প্রভাব ভারতেও। বাংলাদেশ অস্থির পরিস্থিতির কারণে বিগত সময়ে পেট্রাপোল বন্দরে এক ধাক্কায় কমেছে বাণিজ্যের হার। এবং প্রায় এক বছর ধরে সেখানে একই পরিস্থিতি। পড়শি দেশের অশান্তির কারণে, এক ধাক্কায় কাজ হারিয়ে কর্মহীন বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বহু শ্রমিক। রাতারাতি অসহায় হয়েছে বহু পরিবার। কবে পরিস্থিতি আবার আগের মতো হবে, জানা নেই কারও।  কাজ ফিরে পেতে অবস্থান-বিক্ষোভে শামিল মুটে মজদুররা। 

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্যের গতি কমেছে গত এক বছরে। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা, এমনই দাবি তুলে পেট্রাপোল বন্দরে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন মুটে মজদুর পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। অবিলম্বে ব্যবসার গতি স্বাভাবিক না হলে এবং তাঁরা তাঁদের কাজ ফিরে না পেলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ফের সার্জিকাল স্ট্রাইক ভারতের! দফায় দফায় ড্রোণ হামলা, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আলফা(আই) ক্যাম্প?

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল এবং তৎসংলগ্ন এলাকার বহু মানুষের রুটি রুজির একমাত্র ঠিকানা পেট্রাপোল বন্দর। এই বন্দরের উপরেই নির্ভর করে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ ও তাদের পরিবার। ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা-সহ সীমান্ত লাগোয়া বেশ কয়েকটি এলাকার বহু সংখ্যক মানুষদের এই বন্দরের উপরেই নির্ভর করতে হয়। 

    তবে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্যের গতি কমেছে তাই কাজ হারিয়েছেন বহু মুটে মজদুর শ্রেণির মানুষ। বিশেষত বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি এবং ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহ থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ লাগু হয়েছে। তাই যে সমস্ত মানুষ পেট্রাপোল বন্দরে লোডিং এবং আনলোডিং সহ অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারা কাজ হারিয়েছেন। 

    (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});


    তাদের অভিযোগ জল পথ দিয়ে ব্যবসা স্বাভাবিক থাকলেও স্থল বন্দর দিয়ে ব্যবসা স্বাভাবিক করা হচ্ছে না। তারা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্যের গতি স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন। রবিবার সেই একই দাবিতেই পেট্রাপোল বন্দরে অবস্থান বিক্ষোভ করে প্রতিবাদ জানান তারা,  অবস্থার পরিবর্তন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উত্তাল পরিস্থিতির সময় থেকেই একাধিক নিয়ম কানুন শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে। আগের মতো দুই দেশের বাসিন্দাদের যাতায়াত আর সুগম নেই। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও ব্যাপক সংকটে পড়েছেন। সংকটে যাঁরা বন্দরে কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
  • Link to this news (আজকাল)