মানিকচকের অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর পাশে যদি কেউ থাকে তাহলে পথে নেমে প্রতিবাদ হবে, সাফ বার্তা তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের ...
আজকাল | ১৪ জুলাই ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মানিকচক থেকে হুঁশিয়ারি মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের। মানিকচকের তৃণমূল কর্মী আবুল কালাম আজাদ মালদার লক্ষীপুরে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাশে কেউ যাতে কোনওভাবে না দাঁড়ায় তার আবেদন জানান তিনি।
তার কথায়, যদি সেটাই হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমি সরাসরি নামব। এমনটাই মৃতের বাড়ি গোপালপুরে পৌঁছে জানান সাবিত্রী মিত্র। এদিন মৃতের বাবা-মা, স্ত্রী সহ অন্যান্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি।পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগে মালদার ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুরে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী আবুল কালাম আজাদকে। এই ঘটনায় তৃণমূলেরই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল শেখ সহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ। তারা এখন পুলিশ হেপাজতে রয়েছে।
এবার সাবিত্রী মিত্র ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীকে খুনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মইনুল শেখের বিরুদ্ধে। যদিও মইনুল শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কলকাতা থেকে ফিরেই মৃতের বাড়িতে যান সাবিত্রী মিত্র। সেখানেই তিনি বলেন, এই ঘটনার পর যদি কেউ তার পাশে দাঁড়ায় তাহলে এবার নিজেই পথে নামব।
জন্মদিনের পার্টি চলাকালীন 'খুন' হন তৃণমূল কর্মী আবুল কালাম আজাদ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে মালদহের ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীপুর এলাকায়। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তাঁর দলবল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আবুল কালাম আজাদের বাড়ি মানিকচকের গোপালপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তাঁর স্ত্রী-সহ কয়েকজন ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুরে এক বাড়িতে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, রাতে ওই তৃণমূল কর্মীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তাঁর দলবল মিলে তাঁর উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আবুল কালাম আজাদকে বেধড়ক মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। স্বামীকে বাঁচাতে এসেছিলেন স্ত্রী ও অন্যান্যরা। তাঁদের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এবার আসছে পিএইচডি এআই! মাস্কের কথায় মাথায় হাত বাকিদের
পরে আক্রান্ত ওই তৃণমূল কর্মী ও জখমদের উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্তব্যরত ডাক্তাররা আবুল কালাম আজাদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হামলার ঘটনায় ওই তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী-সহ তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। আর কারা ঘটনায় জড়িত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী কারণে এই ঘটনা? তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজ চলছে। হঠাৎ করে কী এমন ঘটনা হল যে এমন একটি হত্যার ঘটনা হল সেটি নিয়ে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। তবে প্রশাসন যেভাবে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাতে তারা খুশি।