• কসবার পর মুর্শিদাবাদ, আইন কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ব়্যাগিংয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী...
    আজকাল | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কসবা এবং জোকার কলেজে যৌন হেনস্থার ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে ফের ব়্যাগিং কাণ্ডে উত্তপ্ত রাজ্যের আর এক আইন কলেজ। কলকাতার একটি নামী আইন কলেজে ধর্ষণের অভিযোগের পর এবার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত এক বেসরকারি আইন কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন তৃতীয় বর্ষেরই এক ছাত্রী। ধৃত সোমা শীল নামে ওই ছাত্রীকে রবিবার কান্দি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৮ জুলাই তাঁকে ফের আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    জানা গিয়েছে, গত ১১ জুলাই দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী অভিযোগ করেন, অর্ক কুন্ডু নামে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে র্যা গিং ও শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়। ওই ছাত্রীর অভিযোগ, অর্ক এবং তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তাঁকে ক্যাফেতে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি অস্বীকার করায় তাঁকে কমনরুমে ডেকে নিয়ে মারধর ও অপমান করা হয়। তিনি আরও জানান, গত ৮ জুলাই কলেজে ক্লাস করতে গিয়ে কিছু বহিরাগত এবং সিনিয়র ছাত্র-ছাত্রী মিলে তাঁকে হেনস্থা করেন।

    বলেন, ‘এই মাসের ৮ তারিখে আমি যখন কলেজে গিয়েছিলাম সেই সময় আমার এক সিনিয়র দাদা, গৌরব এবং অন্য কয়েকজন এসে আমাকে কাছেই একটি ক্যাফেতে যেতে বলে। কিন্তু আমি সেখানে যেতে রাজি হয়নি। এরপর তারা কয়েকজন বহিরাগতকে কলেজে  নিয়ে আসে। আমি ক্লাসে ঢুকে যাওয়ার পর আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ‘থ্রেট’ করে কমনরুমে যেতে বলে। এর কিছুক্ষণ পর অর্ক নামে আমার এক সিনিয়র দাদা এসে আমাকে ওই কমন রুমে নিয়ে যায়। সেখানে আমাদের উপর শারীরিক অত্যাচার করা ছাড়াও ব়্যাগিং করা হয়’। এরপর ১১ জুলাই ফের কলেজে গেলে অর্ক তাঁকে ধাক্কা মারে ও অভিযুক্ত সোমা শীল সহ কয়েকজন তাঁকে লাথি-ঘুষি মেরে অত্যাচার চালায়।

    ওই ছাত্রীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানান, তাঁর মক্কেলের করা মামলার ভিত্তিতে পুলিশ সোমা শীলকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আদালতে পেশ করলে জামিন খারিজ করে আদালত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তবে পাল্টা অভিযোগও করা হয়েছে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর বিরুদ্ধে। সোমা শীল গত ১১ জুলাই অভিযোগ করেন, ওই ছাত্রী তাঁকে ‘টিজ’ করে এবং কুকথা বলে হেনস্থা করেছে। দুই পক্ষই কান্দি থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করে এবং সেদিনই দু’জনকে চিকিৎসার জন্য কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর তরফে মোট ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই সোমা শীলকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, খুনের চেষ্টা, মারধর, হুমকি ও র্যা গিংয়ের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা সুচিস্মিতা নাথ বলেন, “পুলিশকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
  • Link to this news (আজকাল)