রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট : মদ্যপ অবস্থায় নিজেরই দলের কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে এমন টনাটি ঘটেছে তেহট্ট থানার বেতাই দক্ষিণ জিতপুর এলাকায়।
স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জ্বল বিশ্বাসের কথায়, প্রতিবছর ক্লাবের তরফে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়। গত বছরের প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা জমা রয়েছে বেতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বিকি বিশ্বাসের কাছে। ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে সেই টাকা তিনি চাইতে গিয়েছিলেন। সেই সময় প্রধানের সঙ্গে বচসা হয় তাঁর। আরও কয়েকদনের উপস্থিতিতে সমস্যা সাময়িকভাবে ঠিক হয়ে গেলেও, শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দলবল নিয়ে প্রধান তাঁর বাড়িতে আসে বলে উজ্জ্বল জানান। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না তিনি। উজ্জ্বলের অভিযোগ, এরপরই তাঁকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এদিকে ঘরে না থাকার সুযোগে তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে উজ্জ্বল ও বিকির মধ্যে কথোপকথের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে।
তেহট্ট ৩ নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি অসীম বিশ্বাস জানান, উজ্জ্বল বিশ্বাস তাঁদের দলেরই একজন সমর্থক। দলের এক সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করা নিয়ে দলেরই প্রধানের দিকে আঙুল উঠতেই বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন তিনিও। অসীম বলেন, “এই বিষয়টা খোঁজ নিয়ে জানতে হবে। এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে দল সিদ্ধান্ত নেবে।” এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান বিকি বিশ্বাস। তার পালটা অভিযোগ, ওই যুবক নিজেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে, তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন। বিজেপি নেতৃত্বকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছে তারা।
এদিকে এমন ঘটনা নিয়ে তেহট্ট ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি মলয় বিশ্বাস জানান, একজন প্রধানের কাছ থেকে এই ধরনের ব্যবহার আশা করা যায় না। প্রধানের কাজ এলাকার যে কোনও সমস্যার সমাধান করা। তা না করে উলটে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে দলবল নিয়ে তাঁরই দলের সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করেছেন।