শ্রীকান্তের বাড়িতে ঈশা, আবার ময়নাতদন্তের দাবিতে সরব কং সাংসদ
বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের বেসরকারি স্কুলের হস্টেলে মৃত ছাত্র শ্রীকান্ত মণ্ডলের বাড়িতে রবিবার গেলেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী। মৃতের বাবা প্রেমকুমার মণ্ডলের সঙ্গে একসুরে ফের ময়নাতদন্তের দাবিতে সরব হন তিনি।
ঘটনার ১২ দিন পরও মৃতদেহ সত্কার করেনি পরিবার। এর আগে বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূল বিধায়ক মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পুনরায় ময়নতদন্ত করে রিপোর্টের দাবিতে দেহ ফ্রিজারে সংরক্ষণ করছে পরিবার।
তবে, মৃতদেহ সত্কার না করানোর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। নাবালকের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ। ছেলের মৃত্যুর জন্য স্কুলের মালিক তথা প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছে পরিবার। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল মূল অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে বাঁচাতে চাইছে। তাই এই সমস্ত অভিযোগ করছে।
রবিবার দুপুরে মৃতের বাড়িতে আসেন ঈশা। ছিলেন মোত্তাকিন আলম, কৌশর আলি সহ অন্যরা। ঈশা বলেন, মৃতের বাবা ও গ্রামবাসীদের দাবি শুনেছি। তাঁদের সঙ্গে সহমত। পুলিসের তদন্তে সন্তুষ্ট নন মৃতের বাবা-মা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা দেখানো হয়েছে। যা নিয়ে পরিবারের সন্দেহ রয়েছে। কল্যাণীর এইমস হাসপাতালে পুনরায় ময়নাতদন্ত হোক। স্কুলের হস্টেলের সিসি ক্যামেরা কাজ করছে না কেন, আমরা জানতে চাই। বিষয়টি নিয়ে মালদহ জেলা পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হব।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ করলেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ইমরান হাসান। তাঁর মন্তব্য, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছেন মানিকচকের বিজেপি নেতারা। আমাদের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তা করছেন। প্রথমে পরিবার মৃতদেহ সৎকারে রাজি ছিল। কিন্তু বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে তাঁদের ভুল বুঝিয়ে এতদিন আটকে রেখেছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত এবং অভিযুক্তের শাস্তি হোক।
যদিও তৃণমূল ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে বলে সরাসরি তোপ দেগেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদহের জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, তৃণমূলের নির্দেশে খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দেখানো হচ্ছে। তৃণমূলের কোনও বড় মাথা অভিযুক্তকে বাঁচাতে চাইছে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।