• খড়িবাড়ির তেলিভিটায় পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: খড়িবাড়ি ব্লকের বুড়াগঞ্জের তেলিভিটা এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে রবিবার এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন বলে সন্দেহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম বুধলাল মুর্মু (৩৯)। তেলিভিটাতেই তাঁর বাড়ি।

    পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনদিন ধরে বুধলাল নিখোঁজ ছিলেন। এদিন ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে খতিয়ে দেখতেই মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। বুধলালের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। মৃতদেহটি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বাড়ির মেঝেয় পড়ে ছিল। পুলিসের অনুমান, তিনদিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। 

    মৃতের ভাই শামু মুর্মু বলেন, তিনদিন ধরে দাদা নিখোঁজ ছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ করেছি। এদিন এলাকার পরিত্যক্ত বাড়িতে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। 

    স্থানীয়দের একাংশ জানান, বুধলাল নেশায় আসক্ত ছিলেন। আগেও কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। তাঁর বন্ধু রঞ্জিত সিংহ বলেন, বুধলালের ছেলের সঙ্গে দেখা হলে সে জানায় বাবাকে তিনদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যে সমস্ত মদের ঠেকে বুধলাল যেতেন, সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি। এদিন এলাকার পরিত্যক্ত বাড়িতে রক্তাক্ত পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁকে খুন করেই পরিত্যক্ত বাড়িতে ফেলে রাখা হয়েছে।

    অপর এক বাসিন্দা বাবলু সিংহ বলেন, মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। টাকা পয়সার জন্য কেউ তাঁকে খুন করতে পারে। 

    এদিকে খবর পেয়ে খড়িবাড়ি থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে, খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খড়িবাড়ি থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস। তিনি বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। পচাগলা মৃতদেহ থাকায় আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি নেশা করতেন। সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কিংবা হৃদরোগেও মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)