পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ বধূ, খুনের সন্দেহে পুলিসের কাছে পরিবার
বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, কালিয়াগঞ্জ: পাঁচদিন ধরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ মেয়ে। খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা করে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা। পুলিসের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হল রবিবার দুপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬ বছর আগে রায়গঞ্জ থানার লক্ষণীয়ার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের মেয়ে মঞ্জুরা খাতুনের সঙ্গে হেমতাবাদের আসমানহাটের বাসিন্দা হাসনুজ জামানের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রায় মঞ্জুরার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। একাধিকবার সালিশি সভা হলেও দাম্পত্য কলহ মেটেনি।
মঙ্গলবার থেকে নিখোঁজ ওই বধূ। বাবা মজিবুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে ফের অশান্তি হয়। বুধবার রাতে আমাকে ফোন করে জানানো হয় যে, মঞ্জুরাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে মেয়ের কোনও হদিশ না পেয়ে রবিবার থানার দ্বারস্থ হন মজিবুর। এদিন পুলিসের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে হেমতাবাদ থানা ঘেরাও করে বধূর পরিবার। মজিবুরের আশঙ্কা, মেয়েকে খুন করে গায়েব করে দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। বধূর স্বামী হাসনুজ জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখে আমার নামে অপবাদ দিচ্ছে। তারা আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে। হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা বলেন, বধূর খোঁজ শুরু হয়েছে। সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হেমতাবাদ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ।-নিজস্ব চিত্র