• কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতেই ঊর্ধ্বমুখী সব্জির দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাজারে উর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে শাক সব্জির দাম। প্রতিনিয়ত দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে এসে দাম শুনে মাথায় হাত পড়ছে সাধারণ মানুষের। পকেটে টান পড়ছে তাঁদের। আলু, পেঁয়াজ বাদে ৫০ টাকা কেজির নীচে কোনও সব্জির দাম নেই। তবে বাজারে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে কাঁচালঙ্কা ও টম্যাটোর দাম। লঙ্কা সেঞ্চুরি পার করেছে। অন্যদিকে সেঞ্চুরির পথে টম্যাটো ও বেগুন। অথচ কয়েকদিন আগে বাজারে টম্যাটো কেজি প্রতি ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাস দেড়েক আগে পর্যন্ত শাক-সব্জির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের টাকা বৃষ্টিতে ক্রমশ অগ্নিমূল্য হয়ে উঠছে সব্জির দাম। বাঙালির প্রিয় মাছ মাংস বা অন্যান্য পদ রান্নাতে আদা, রসুন ও কাঁচালঙ্কা আবশ্যিক। বর্তমানে বাজারে সেই রসুন বিকোচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা। আদা ৬০ টাকা। আর লঙ্কা সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। এদিন বাজারে লঙ্কা কেজি প্রতি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এই সময় বাঙালির প্রায় প্রতিটি ঘরে কচু দিয়ে চুনো মাছের টকের পদ থাকেই। কিন্তু বর্তমানে এক কেজি কচুর দাম ৫০ টাকা। অন্যান্য সব্জির দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদিন রামপুরহাটের বাজারে বেগুন কেজি প্রতি দর ছিল ৮০ টাকা। টমাটো ৭০ টাকা, ঝিঙে ও পটল ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা কেজি। দাম অপেক্ষাকৃত কম কুমড়োর। কুমড়োর প্রতি কেজির দাম ২৫ টাকা। সব মিলিয়ে কাঁচা আনাজের ক্রমশ মূল্যবৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে নিম্ন থেকে মধ্যবিত্তদের। অন্যদিকে কেজি প্রতি ৪০ টাকার নিচে কোনও শাক নেই। যা এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্ষার কারণে ফসলের ক্ষতি এবং পরিবহনের অসুবিধা দাম বৃদ্ধির পেছনে অন্যতম কারণ।

    রামপুরহাটের বাসিন্দা সৌভিক মণ্ডল নামে ক্রেতা বলেন, কোলেস্টেরল রয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, নিয়মিত শাক-সব্জি খান। কিন্তু বাজারে এসে মনে হচ্ছে, সবকিছুই এখন বিলাসিতা। আর এক ক্রেতা সুবিমল হাজরা বলেন, বৃষ্টির অজুহাতে বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। সরকারের উচিত বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। এক বিক্রেতা দয়াল লেট বলেন, বৃষ্টিতে সব্জি চাষের ক্ষতি হয়েছে। তাতে জোগানোর তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেশি। আর এক বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম চড়া। সামান্য লাভ রেখে তাঁরা বিক্রি করছেন। তাঁদেরও লাভের পরিমাণ কম। বৃষ্টির কারণে গ্রাম থেকে সব্জি আনতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, আর ফসলের ক্ষতিও হচ্ছে। কয়েকদিন পর বৃষ্টি কমলে দাম কিছুটা কমতে পারে।  -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)