সংবাদদাতা, ডোমকল: অস্ত্র বিক্রির গোপন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল হোয়াটসঅ্যাপ! খোলা হয়েছিল একটি ক্লোজড গ্রুপ। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত সেই গ্রুপে পোস্ট করছিল আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি। কিন্তু, শেসটাই কাল হল। অস্ত্র বিক্রির ছবি পোস্ট করার দিনকয়েকের মধ্যেই ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। তাকে অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করে ডোমকল থানার পুলিস। ধৃত যুবকের নাম রাজিবুল শেখ। তার বাড়ি ডোমকল থানার তালতলাপাড়া গ্রামে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজিবুলের নামে একাধিক ফৌজদারি মামলা রয়েছে। কয়েক মাস আগে সে ধর্ষণের একটি মামলায় জামিনে ছাড়া পায়। তারপর থেকেই ফের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। মাস তিনেক আগে একটি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি পোস্ট করে। যদিও দ্রুত তা ডিলিট করে দেয়। তবে পুলিসের মনিটরিং টিম সেই ছবি ধরে ফেলে এবং তার উপর নজর রাখে। এরপর থেকেই গোপনে তার গতিবিধি ও কাজকর্মের উপর নজর রাখছিল পুলিস।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি ‘ক্লোজড হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে’ রাজিবুল ফের অস্ত্রের ছবি পোস্ট করে। সেই তথ্য পুলিসের কাছে পৌঁছে যায়। তারপরেই পরিকল্পনা মাফিক শনিবার রাতে অভিযানে নামে ডোমকল থানার একটি বিশেষ দল। রাজিবুলের বাড়িতে অভিযান চালাতেই উদ্ধার হয় অস্ত্র। তার বাড়ি থেকে একটি দেশি ইম্প্রভাইজড রাইফেল ও দু’রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিস। ওই অস্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্স সে দেখাতে পারেনি। এরপরই অস্ত্র সহ ওই যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আনা হয়। পরে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। অস্ত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিস।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছবি পাঠানো দেখে পুলিসের প্রাথমিকভাবে অনুমান, সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো এনক্রিপ্টেড অ্যাপকে হাতিয়ার করেই অস্ত্রের কারবার শুরু করে থাকতে পারে অভিযুক্ত। পাশাপাশি হতে পারে, ওই গ্রুপে থাকা ব্যক্তিরা আদতে অস্ত্র কেনার জন্যই অ্যাড হয়েছিল। পুরো ঘটনায় আরও কারা যুক্ত ছিল, কে কে ক্রেতা বা সরবরাহকারী ছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিকভাবে এটিকে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে অস্ত্র বিক্রি করার কিছুটা অভিনব পরিকল্পনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া এগতে থাকলেই পুরো বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। -নিজস্ব চিত্র