• বর্ষায় হাবড়ার জলবন্দি দশা কাটাতে সংস্কার হচ্ছে পদ্মা খাল, নাংলা বিল
    বর্তমান | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: প্রতি বছর বর্ষাতে জলবন্দি হয় হাবড়া ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তাঁদের সেই যন্ত্রণার অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হল ব্লক প্রশাসন ও সেচদপ্তর। ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা খাল ও নাংলা বিল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা যাবে বলেই আশাবাদী দপ্তর।

    হাবড়া, মছলন্দপুর, গোবরডাঙা, কুমড়া, বেড়গুম সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতিবছর বর্ষায় জলমগ্ন হয়ে যায়। সঠিকভাবে জল নিকাশি না হওয়ায় ঘরে কোমরসমান জল উঠে যায়। রাস্তা চলে যায় জলের তলায়। তখন যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভরসা কেবল নৌকা। ঘরেবাইরে প্রবল দুর্ভোগের মুখে পড়ে কয়েকশো পরিবার। এদিকে, মছলন্দপুর, গোবরডাঙা, স্বরূপনগরের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে যমুনা নদী। জল নিকাশির অন্যতম মাধ্যম হল এই যমুনা। আর সেই জল মেশে ইছামতীতে। পাশাপাশি রয়েছে পদ্মা খাল ও নাংলা বিল। এই দু’টি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। তাই বিস্তীর্ণ এলাকার জল নিকাশির সমস্যা হয়।

    এই খাল ও বিলে জন্মেছে বড় বড় আগাছা ও কচুরিপানা। দীর্ঘদিনের এই যন্ত্রণা থেকে এলাকাবাসীকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, ‘জিরো কস্ট’ মডেলকে কাজে লাগিয়েই নাংলা বিল ও পদ্মা খাল সংস্কার হবে। তাতে বেসরকারি সংস্থা এই দুই জায়গা থেকে নোংরা, আবর্জনা সরিয়ে ফেলবে। নাংলা বিলের ৪.৮ কিলোমিটার ও পদ্মা খালের ৭ কিলোমিটার এলাকা সংস্কার করা হবে। সেখানে জমে থাকা পলিমাটি তোলা হবে। নিয়ম মেনে সরকারকে রাজস্ব দিয়ে সেই মাটি কিনে নেবে ওই বেসরকারি সংস্থাই। এতে একদিকে যেমন জেলা প্রশাসন রাজস্ব আদায় করতে পারবে, পাশাপাশি কাজে সরকারের কোনও বাড়তি ব্যয়ও হবে না। বলা ভালো, অনেকটা মাছের তেলে মাছ ভাজার মতোই এই ভাবনা নেওয়া হয়েছে।

    এই কাজের জন্য বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, পদ্মা খাল ও নাংলা বিলে হাবড়া, গোবরডাঙা, অশোকনগরের বিস্তীর্ণ এলাকার জল এসে পড়ে। আর তার নিকাশির জন্য এই দু’টির সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। কারণ এখান থেকে জল সঠিকভাবে বয়ে গেলে কোনও সমস্যাই হবে না। সরাসরি এই জল গিয়ে পড়বে ইছামতীতে। ইতিমধ্যেই এই কাজের টেন্ডার চলছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

    বিষয়টি নিয়ে হাবড়া ১-এর বিডিও সুবীর দণ্ডপাঠ বলেন, নাংলা বিলের ৪.৮ কিলোমিটার ও পদ্মা খালের ৭ কিলোমিটার সংস্কার হবে। আমরা আশাবাদী, এর ফলে জলযন্ত্রণার স্থায়ী সমাধান হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)