সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা সিমেন্ট, সাধারণ মানুষকে বিক্রির অভিযোগ উঠল এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। ডোমজুড় থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রতাপ বসু নামে এক পরিবেশকর্মী। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সমাজকর্মী প্রতাপ জানান, নিজে বিষয়টি যাচাই করতে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন ডোমজুড়ের কলোড়ার বিকাশ মান্না নামে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে। ক্রেতা সেজে নিজেই ওই ব্যবসায়ীকে ফোন করে সিমেন্ট কেনার কথা বলেন। প্রতাপ বলেন, ‘‘ফোনে ওই কারবারি সরকারি সিমেন্ট বিক্রির কথা স্বীকার করেছে। সে আমাকে সিমেন্টের বস্তা পিছু ২৮০ টাকা দর দেয়। বলে, এর থেকে কম করা যাবে না। বস্তা পিছু ১০ টাকা করে পুলিশের ভাগ রয়েছে।’’ এরপরেই প্রতাপ ডোমজুড় থানা এবং হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানান।
এক নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতা জানান, সরকারি কাজের জন্যে সিমেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাকে বরাত দেয় সরকার। সংস্থা থেকে সরাসরি কাজের জায়গায় সিমেন্টের বস্তা পাঠানো হয়। সেই সমস্ত বস্তার গায়ে ‘ফর ইন্ড্রাস্টিয়াল/ইনস্টিটউশনাল কনজ়াম্পশান নট ফর রিটেল সেল’—লেখা থাকে। সেগুলো অন্য কাউকে বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
প্রতাপ জানান, সাঁকরাইলের আলমপুর মাকালতলার সঞ্জয় কোলে নামে এক ব্যক্তিও ওই ব্যবসায়ীর থেকে সিমেন্ট কিনেছেন। এ বিষয়ে সঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘কম দামে সিমেন্ট পাওয়া যাবে শুনে যোগাযোগ করেছিলাম। না দেখেই ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অনেকগুলো সিমেন্টের বস্তা কেনে ফেলি। বুঝতে পারিনি, এ সব সরকারি জিনিস।’’
প্রতাপের দাবি, ‘‘ডোমজুড় থানার নিউ কলোড়া আউটপোস্টের কিছুটা দূরে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডে প্রায় এমন সিমেন্টের বহু বস্তা নামানো হয়। পুলিশের একাংশের মদতে চলে এই রমরমা কারবার।’’
অভিযোগ প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘একটা অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’