• খন্দপথে ভরসা দোলা, মৃত ছাত্রী
    আনন্দবাজার | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • বেহাল রাস্তা। মূল সড়কে দাঁড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্স। দোলায় করে এক ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হল মূল সড়কে। তবে বাঁচানো যায়নি তাকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, পিঙ্কি পাড়ি (১৬) নামে ওই ছাত্রীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে ভেমুয়া পঞ্চায়েতের বসন্তপুর গ্রামে। বুড়াল পঞ্চায়েতের কেরুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী পিঙ্কিকে শনিবার বাড়িতে গলায় দড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন পরিজনেরা। ডাকা হয় অ্যাম্বুল্যান্স। বাড়ির সামনে কয়েকশো মিটার মোরাম রাস্তা বেহাল থাকায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারেনি। গ্রামবাসী দোলায় ঝুলিয়ে পিঙ্কিকে মূল সড়কে নিয়ে যান। পরে অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, বাঁচানো যায়নি তাকে। রবিবার দেহ খড়্গপুরে ময়না তদন্তে পাঠায় সবং থানার পুলিশ।

    ছাত্রীর আত্মীয় কালীপদ পাড়ির দাবি, “মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে সে বেঁচে ছিল। শুকনো আবহাওয়াতেও তো অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকে না করপাড়ার রাস্তায়।” স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরখানেক আগে কিছু অংশ ঢালাই হলেও, ছাত্রীর বাড়ি পর্যন্ত কয়েকশো মিটার রাস্তা এখনও বেহাল। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার দাবি, কেন্দ্র চার বছর রাস্তার জন্য কোনও টাকা না দিলেও, ভেমুয়া পঞ্চায়েত জেলার অন্য সমস্ত পঞ্চায়েতের থেকে বেশি রাস্তা করেছে। তাঁর বক্তব্য, “এত বেশি রাস্তা ওই পঞ্চায়েতে হওয়া সত্ত্বেও, রটিয়ে দেওয়া হল, রাস্তা নেই। বাড়ি থেকে ঢালাই রাস্তার দূরত্ব আড়াইশো মিটার।” কেন্দ্র যে টাকা দিচ্ছে না, সেই অভিযোগ করেন মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তাঁর আরও বক্তব্য, “রাজ্যের পূর্ত দফতর যে সব রাস্তা দেখে, তার জন্য অর্থ নিশ্চয় বরাদ্দ করেছে। পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে কিছু রাস্তা যৌথ ভাবে চলে।”

    বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, “কেন্দ্র-রাজ্য তরজায় যেতে চাই না। রাজ্যের মন্ত্রী নিজের এলাকার মানুষের জন্য রাস্তা গড়তে পারেননি কেন?”
  • Link to this news (আনন্দবাজার)