• ভরা বর্ষায় বঙ্গে আবারও নিম্নচাপ, দুর্যোগে ফের দুর্ভোগের আশঙ্কা
    প্রতিদিন | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • নিরুফা খাতুন: সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। তার সঙ্গে ফের দোসর নিম্নচাপ। রবিবারই দক্ষিণবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয় আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসই যেন সত্যি হল। রবিবার রাত থেকে চলছে বিরামহীন বৃষ্টি। সোমবার দিনভর দুর্যোগ চলবে। সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে। 

    আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এটি উত্তর ওড়িশা ও বাংলার উপকূলে অবস্থান করছে। এটি নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। এই সময় উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এদিকে মৌসুমী অক্ষরেখাও সক্রিয় রয়েছে। তার প্রভাবে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টিপাত চলছে। নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়বে। সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলবে। পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত চলবে। কলকাতায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। মঙ্গলবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে। উত্তরবঙ্গেও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলবে। তারপর পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনা।

    নিম্নচাপের জেরে গত সপ্তাহে প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। বাংলার ওপর থেকে নিম্নচাপ সরতে শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হয়। রবিবার দুপুর থেকে ফের ভোলবদল হয় আবহাওয়ার। সকাল থেকে ভ্যাপসা গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা হয়ে উঠেছিল। দুপুর হতেই বর্ষণ শুরু হয়। বৃষ্টিতে অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে সাময়িক স্বস্তি মেলে। এদিকে, দফায় দফায় একটানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে একাধিক নদী। হু হু করে বাড়ছে জলস্তর। তার ফলে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম-সহ একাধিক জেলার নানা প্রান্ত প্লাবিত। তার উপর আবার রাজ্যকে না জানিয়ে ডিভিসি জল ছাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই জলের তলায় চাষের মাঠ। ফসল এবং ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। মাথায় হাত কৃষকের। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)