• বিদ্যাসাগরের পথেই হলদিয়ার ‘স্নেকম্যান’ নকুলচন্দ্র
    এই সময় | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • পুলক বেরা, হলদিয়া

    বীরসিংহ গ্রাম থেকে তাঁর বাড়ি একশো কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। তবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দেখানো পথে হাঁটছেন হলদিয়ার ‘স্নেকম্যান’। বিধবাদের বিয়ে নিয়ে শুধু সরব হয়েই থেমে থাকেননি, এখনও পর্যন্ত নিজের হাতে দশ জন বিধবার বিয়ে দিয়েছেন তিনি। সন্তান হারানোর পরে পুত্রবধূরও বিয়ে দিয়েছেন হলদিয়ার নকুলচন্দ্র ঘাঁটি।

    চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম- কথাটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন নকুল। ২০২০ সালের নভেম্বরে দুর্ঘটনায় তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়। পুত্রশোককে নিজের উপরে জেঁকে বসতে দেননি। ২০২২ সালে পুত্রবধূর দ্বিতীয় বার বিয়ের ব্যবস্থা করেন।

    নিজের দুই ভাইপোর সঙ্গেও বিধবা মহিলার বিয়ে দেন। এখনও পর্যন্ত দশ জন বিধবার বিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর পণ, বেঁচে থাকতে-থাকতে অন্তত পঁচিশ জন বিধবার বিয়ের ব্যবস্থা করা। তাঁর এই কাজে সাড়াও মিলছে।

    সময়টা ২০০৬। কুসংস্কারবিরোধী প্রচারে যুক্তিবাদী মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হন নকুল। সে বছরেই হলদিয়া মেলায় ‘সাপের ঘরে মানুষ’ প্রদর্শনীতে প্রায় দেড়শো সাপ দেখে সাপের প্রতি তাঁর ভালোবাসা জন্মায়। সেই থেকেই সাপরক্ষা অভিযানে ব্রতী হয়েছেন তিনি।

    এখনও পর্যন্ত দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা মিলিয়ে হাজারেরও বেশি সাপ উদ্ধার করেছেন তিনি। কেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়ার মতো নানা বিষধর সাপও রয়েছে সেই তালিকায়। উদ্ধার করা সাপের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ তিনি তুলে দিয়েছেন বন দপ্তরের হাতে।

  • Link to this news (এই সময়)