• বিয়ে করেছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে, বিয়ের পাঁচ মাসেই গৃহবধূর পরিণতি জানলে চমকে উঠবেন...
    আজকাল | ১৪ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র পাঁচ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। এর মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল সিভিক ভলেন্টিয়ারের স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত পাঁচমাস আগে বলাগড়ের রুকেসপুরের বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সুভাষ সাঁতরার সঙ্গে বিয়ে হয় মগড়ার বিশপাড়ার রিয়া দাসের(২৯)। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবেই চলছিল। হঠাৎই রবিবার সকাল থেকে স্ত্রী রিয়ার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি শুরু করে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি।

    দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরেও তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে রিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনকে ফোন করা হয়। এরপর বাপের বাড়ির লোকজন এসে পৌঁছলে ভেঙে ফেলা হয় রিয়ার ঘরের দরজা। ভাঙতেই দেখা যায় ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছে গৃহবধূ। এরপরই তড়িঘড়ি রিয়াকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বলাগড় থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

    আরও পড়ুন: কঠিন হচ্ছে আধারের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের নাম নথিভুক্তকরণ প্রক্রিয়া! কী পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের?

    বাড়ির মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে রিয়ার পরিবার। রিয়ার মাসি দাবি করেছেন, ‘আমাদের মেয়েকে এরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই রিয়ার উপর চলত মানসিক অত্যাচার। এমনকি, রিয়ার স্বামী এবং শাশুড়ি দিনের পর দিন তাদের বাড়ির মেয়ের ওপর সন্দেহ করছিল। তা নিয়ে সাংসারিক অশান্তিও চলছিল। কেন কেউ হঠাৎ করে মরতে যাবে। বাড়িতে মা আর ছেলে ছাড়া কেউ নেই। আমাদের প্রশ্ন? দীর্ঘক্ষণ ধরে কেন দরজা বন্ধ ছিল? কেন প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভেঙে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি? আগেই যদি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত তাহলে মেয়েটা হয়তো বেঁচে যেত’।

    আরও পড়ুন: চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর, পিএফ নিয়ে সরকারের বিরাট ঘোষণা, টাকা তোলা এবার থেকে জলভাত, জানুন বিস্তারিত...

    যদিও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়ার শাশুড়ি শোভা সাঁতরার দাবি, ‘বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি লেগে থাকত দুজনের। শনিবার বৌমা কুন্তীঘাটের কারখানায় কাজে গিয়েছিল। বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ ফিরছে না দেখে রাতে ছেলে ফোন করে। বৌমা জানায় তাঁর ফোনে রিচার্জ ছিল না তাই সে ফোন করতে পারেনি। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা হয়। রবিবার সকালে ছেলে মাঠে গিয়েছিল’। হুগলী গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান, ‘একটা অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়নাতদন্ত হবে। এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি, তদন্ত চলছে’।

     
  • Link to this news (আজকাল)