ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা ও চালতাবেড়িয়া অঞ্চল সভাপতি রাজ্জাক খাঁ হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হলেন আরও তিন অভিযুক্ত। রবিবার রাতে কাশীপুর থানা এলাকার বিজয়গঞ্জ বাজার ও চক মরিচা থেকে আজহারউদ্দিন মোল্লা, জাহান আলি খান এবং রাজু মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এই নিয়ে রাজ্জাক খাঁ হত্যাকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। এর আগে রবিবারই তৃণমূলেরই এক স্থানীয় নেতা, ভাঙড় বিধানসভা তৃণমূল কমিটির সদস্য মোফাজ্জল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তদন্তকারী আধিকারিকদের মতে, মোফাজ্জল কে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকি তিন অভিযুক্তের নাম উঠে আসে। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে উত্তর কাশীপুর থানার পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, গুন্ডা দমন শাখা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চ। লালবাজারের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ও ভাঙড় ডিভিশনের ডিসি সৈকত ঘোষ সরাসরি নজর রাখছেন তদন্তে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়েন্দা প্রধান স্বয়ং ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছেন ধৃত মোফাজ্জলকে। এরপরই বাকি অভিযুক্তদের নাম জানা যায়। দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তৃণমূলেরই নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে। যদিও স্থানীয় বিধায়ক শওকত মোল্লার দাবি, ধৃত ব্যক্তিরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় আইএসএফ-এর যোগসূত্র রয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এখনও খুনের মূল কারণ নিয়ে তেমন কিছু জানানো হয়নি। তদন্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন রাজ্জাক খাঁ। পুলিশ জানায়, তাঁকে প্রথমে পরপর তিনটি গুলি করা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও, খুনের মূল উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট। ব্যক্তিগত শত্রুতা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না কি রাজনৈতিক রেষারেষি – সব দিকই খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।