শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই বিজেপির মূলবৃত্তে দিলীপ ঘোষের ফেরা ছিল সময়ের অপেক্ষা। আর দীর্ঘ হল না সেই অপেক্ষা। আগামী শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় ডাক পেলেন দিলীপবাবু। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির দিলীপ ঘোষের ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন দলের অনেক নেতাকর্মীই। এই খবরে খুশি তারা।
আগামী ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে রাজনৈতিক সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সভার তোড়জোড়। তারই মধ্যে দিলীপ ঘোষের কাছে পৌঁছল আমন্ত্রণপত্র। যা বিজেপির পুরনো নেতাদের কাছে বড় স্বস্তির খবর বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ১৯ এপ্রিল দিঘার জগন্নাথধাম কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিয়ের সপ্তাহখানের মধ্যে তাঁর সস্ত্রীক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ভালোভাবে নেননি দলের নেতাকর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রাণ হাতে নিয়ে লড়ছেন দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী, কেন তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন দিলীপ? এমনকী দিলীপবাবু তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন বলেও গুঞ্জন ছড়ায়। তবে তা পত্রপাঠ খারিজ করে দেন দিলীপ ঘোষ নিজে। দিঘায় যাওয়া নিয়ে সাফাই দিয়ে দিলীপবাবু বলেন, আমি ভগবানের কাছে গিয়েছি। ভগবানের কোনও দল হয় না। আর দিঘার জগন্নাথ মন্দির হিন্দুত্বের জয়।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকে বিজেপির আর কোনও সভা বা বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি দিলীপবাবু। গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ডাক পাননি তিনি। দলের নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের অনুষ্ঠানেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গত ৮ জুলাই নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপবাবু। এর পর তিনি বলেন, শমীকবাবুর নেতৃত্বে আমি ও বিজেপির সমস্ত পুরনো কর্মীরা দলের হয়ে ময়দানে নামব।