সুখটান-বিরতি ঠেকাল বরের জেলযাত্রা! বিবাহ অভিযানে পাকড়াও পাত্র ও কনেপক্ষের পাঁচ
আনন্দবাজার | ১৪ জুলাই ২০২৫
হঠাৎ বিয়েবাড়িতে পুলিশ! শুরু হুড়োহুড়ি। তার মধ্যেও পাত্র ও কনেপক্ষের বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অপরাধ? ১২ বছরের নাবালিকাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসানো। পুলিশি অভিযানের সময়ে ‘বেঁচে গেলেন’ পাত্র। কারণ, বিড়ি!
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গোপন সূত্রে তারা খবর পায়, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার মহিষাড় গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে খড়গ্রাম থানার পুলিশের একটি দল পৌঁছে যায় ঘটনাস্থলে। গ্রেফতার হন বরের বাবা-মা এবং পিসি। এ ছাড়া পাত্রীপক্ষের দু’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে পাত্র পুলিশের হাতে ধরা পড়েননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কনের বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটির বাবা-মা রুজিরুটির টানে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। বর্তমানে দম্পতির কর্মস্থল মুম্বই। মেয়েটি থাকত দিদিমার কাছে। সেই দিদিমাই নাবালিকা নাতনির বিয়ে ঠিক করেছিলেন বলে অভিযোগ।
পাত্রের বাড়ি একই গ্রামে। পাকা কথার সময় ঠিক হয়, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে যাবে মেয়ে। আর পাত্র পণের টাকা নিয়ে চাকরি করতে যাবেন সৌদিতে। সেই মতো বিয়ের আসর বসে রবিবার। কিন্তু বাধ সাধল পুলিশ।
বিয়ের আসরে আমন্ত্রিত অল্পই ছিলেন। দিদিমা দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিচ্ছিলেন নাবালিকা নাতনির। হঠাৎ পুলিশের আগমনে ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন সকলে। তবে বর ওই স্থানে ছিলেন না। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ছাঁদনাতলায় বসার আগে সুখটান দিতে বাইরে গিয়েছিলেন পাত্র। বিড়িতে টান দিতে দিতে গলিতে পুলিশ দেখতে পান তিনি। বিপদ বুঝে গা-ঢাকা দেন।
এখনও বরের খোঁজে পুলিশ। নাবালিকাকে উদ্ধার করে একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। রবিবার ধৃতদের কান্দি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।