• আত্মঘাতী ছাত্রী, কোর্টের নির্দেশে কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত
    বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল কিশোরী মেয়ের। কিন্তু আত্মহত্যার কথা পাঁচ কান করতে চায়নি পরিবার। তাই রাতের অন্ধকারে কাউকে কিছু না জানিয়ে কবরস্থ করা হয়েছিল দেহ। রবিবারের ঘটনা। কিন্তু ফল হল উল্টো, পুলিসে খবর যেতেই আদালতের নির্দেশে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত করা হল। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে কিশোরী। সোমবার বেলার দিকে ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ওই ছাত্রীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিনই ফের কবর দেওয়া হল তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উস্তি থানার উত্তর কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ওই ছাত্রীর। এই নিয়ে রবিবার বাড়িতে বকাবকি করেছিলেন বাবা-মা। অভিমানে সেদিনই আত্মঘাতী হয়েছিল দশম শ্রেণির পড়ুয়া। বিষয়টি পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি যাতে না হয়, তাই রাতেই কবর দেওয়া হয়েছিল কিশোরীকে। যদিও নিয়মে বলা আছে, যে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে আগে পুলিসকে খবর দিতে হবে। ময়নাতদন্ত না করে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা যাবে না। এক্ষেত্রে সেসব মানেনি পরিবার বলে অভিযোগ। 

    এদিকে, কোনওভাবে সেই খবর জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির কাছে পৌঁছয়। তারা উস্তি থানাকে খতিয়ে দেখতে বলে। পুলিস তদন্ত করে জানতে পারে, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছিল। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী যেসব করণীয় তা না করেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনায় কোনও অস্বাভাবিকতা আছে কি না জানতেই সোমবার আদালতের কাছে দেহ তোলার আবেদন করে উস্তি থানা। বিচারক সেটা মঞ্জুর করতেই এদিন সব নিয়ম মেনে ওই ছাত্রীর দেহ তুলে পাঠানো হয়েছিল ময়নাতদন্তে। বিকেলে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। রিপোর্টে কোনও অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, পাড়া থেকেই কেউ ফোন করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটিকে জানিয়েছিল। সেখান থেকেই পুলিসের কাছে বিষয়টি আসে। যদিও এ ব্যাপারে পরিবারের কেউ মুখ খুলতে চায়নি। 
  • Link to this news (বর্তমান)