• মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সন্তুষ্ট নন চাকরিহারারা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’–এর নবান্ন অভিযানকে ঘিরে সোমবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের পরেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ সহ একাধিক দাবিতে তাঁরা অনড়ই রইলেন। রাজ্য সরকারকে বেঁধে দিলেন সময়সীমা। এদিন রাতের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তাহলে কেন তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারারা।

    এ দিন নবান্ন অভিযানকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। অবশেষে শিবপুরে হাওড়া পুলিশ লাইনে ১৮ জন যোগ্য শিক্ষক ও ২ জন যোগ্য অশিক্ষক কর্মীর সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে বৈঠকে সন্তুষ্ট হননি আন্দোলনকারী চাকরিহারারা। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে চাকরিহারারা জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব তাঁদের কথা শুনেছেন। নোট করেছেন। কিন্তু সোমবার রাতের মধ্যে যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আর তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার বলেছেন যে, যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা তৈরি রয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা না থাকায় তাঁরা তা প্রকাশ করছেন না। এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট তো তালিকা প্রকাশে নিষেধাজ্ঞাও দেয়নি। সেক্ষেত্রে কেন এই যুক্তিতে যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না?
    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল। এর জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাকর্মী। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই সেই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এসএসসি। কিন্তু পরীক্ষায় বসতে রাজি নন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের তালিকা দিয়ে বাকিদের পরীক্ষা নেওয়া হোক।

    পরীক্ষা না দিয়েই যোগ্যদের স্বপদে ও স্ববেতনে বহাল, চাকরি ফেরাতে উদ্যোগী হোক রাজ্য, যোগ্যদের শংসাপত্র প্রকাশ, রি–প্যানেলের মাধ্যমে চাকরি ফেরত, ওএমআর শিট প্রকাশ করা সহ একাধিক দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবিগুলি তুলে ধরা। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে আগে থেকে অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সেই কারণে নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়। জিটি রোডের বঙ্গবাসী মোড়, ফরশোর রোডের রামকৃষ্ণপুর ঘাট গেট, কাজিপাড়া মোড় ও সাঁতরাগাছি মোড়ে ব্যারিকেড বসানো হয়। পাশাপাশি নবান্ন সংলগ্ন শিবপুর, মন্দিরতলা, বেলেপোল এলাকাতেও গার্ডরেল বসানো হয়। বসানো হয়েছিল ২৫টি হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা। ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হচ্ছিল নজরদারি। প্রস্তুত রাখা হয়েছিল জলকামানও।
    এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)