পোর্টালের মাধ্যমে এক পঞ্চায়েতে ৪ হাজারের বেশি ভুয়ো জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র! হাই কোর্টে বিস্ফোরক রাজ্য
প্রতিদিন | ১৫ জুলাই ২০২৫
গোবিন্দ রায়: এবার জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র জালিয়াতি নিয়ে আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল রাজ্য। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই সংক্রান্ত এক মামলায় রিপোর্ট দিয়ে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই এপর্যন্ত ৩৫৫৮টি ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে! এছাড়াও ৫১০টি ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছে। সবটাই হয়েছে সরকারি জন্ম-মৃত্যু তথ্য পোর্টালের মাধ্যমে। তবে কবে থেকে এ কাজ চলছে তার তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা থানা এলাকার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা নিত্যরঞ্জন ঘোষ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু সংশাপত্র বা ডেথ সার্টিফিকেটকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলায় পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। এদিন সেই মামলায় রাজ্যের কৌঁসুলি জানান, এই ঘটনার পিছনে একটি চক্র রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বাবা-মায়ের নামের জায়গায় বাংলাদেশি নাগরিকের নাম ব্যবহার করা। এর মধ্যে মানব পাচার চক্রও রয়েছে। গত ৯ জুলাই এই ঘটনায় ১০ জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। দু’জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতে চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত গৌতম সর্দার নামে এক কর্মী এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ওই ব্যক্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে জন্ম-মৃত্যু পোর্টল থেকে সার্টিফিকেট ইস্যুর কাজে নিযুক্ত ছিলেন। সেই যুযোগে ওই ভুয়ো জন্ম-মৃত্যু শংশাপত্রগুলি ইস্যুর কাজ করেন। সরকারি কৌঁসুলি জানান, ঘটনার সঙ্গে আরও বড় চক্র রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।